করোনাভাইরাস: সেরে উঠেছেন রোবেনের স্ত্রী

ফাইল ছবি: এএফপি

চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক তারকা ফুটবলার আরিয়েন রোবেন জানিয়েছেন, তার স্ত্রী বেরনাদিন ইলার্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সম্প্রতি সেরেও উঠেছেন। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতিবাচক খবরটি দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা এই উইঙ্গার।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অবশ্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি ইলার্ত। হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসা চলে তার। সেই দুঃসময়ে বন্ধুরা তাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন তা-ও জানিয়েছেন রোবেন। তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোবেন বলেন, ‘সবচেয়ে বাজে যে ব্যাপারটা ছিল, সে বুকে খুব চাপ অনুভব করছিল এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছিল। এটা অবশ্যই ভালো কোনো কিছু নয়। আপনারা দেখেছেন যে, এটা কতদিন পর্যন্ত থাকে। দুই-তিন দিন পর থেকে এটা খারাপের দিকে যেতে থাকে। আমি এই ভেবে খুশি যে, এটা খুব মারাত্মক ছিল না।’

উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল রোবেনের জন্য। খাদ্য সামগ্রী হতে শুরু করে চিকিৎসা সামগ্রী, সবকিছুই সময়মতো তার বন্ধু দিয়ে যাওয়ায় কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয় তার পরিবারের। এমনকি নিজেদের পোষা কুকুরের যত্ন নেওয়াও কঠিন ছিল তাদের জন্য। সেটাও করেছেন তার বন্ধুরা।

তাই বন্ধুদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি সাবেক ডাচ ফুটবলার, ‘সৌভাগ্যবশত, আমাদের কিছু ভালো বন্ধু আছে, যারা আমাদের সাহায্য করছে। কিন্তু এটাও এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ, আপনি কোনোভাবেই বাইরে যেতে পারবেন না। তারা আমাদের জিনিসপত্র কিনে দরজায় রেখে যায়। পরে সেটা ঘরে নিয়ে আসি। আমাদের একটি কুকুর আছে কিন্তু আমাদের জঙ্গলে যাওয়ার অনুমতি নেই। বন্ধুরা কুকুরটিকে নিয়ে যায় এবং বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে।’

স্ত্রী সেরে ওঠায় বর্তমানে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলছে বলে জানান রোবেন, ‘সৌভাগ্যবশত সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছে। সে আগে খুব খারাপ অনুভব করেছে। তবে সৌভাগ্যবশত, টেস্টে এখন তার নেগেটিভ ফল এসেছে এবং সে ভালো অনুভব করছে।’

Comments

The Daily Star  | English
Eid-ul-Azha 2025

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

1h ago