ফ্লিনটফের সেই ওভারটিই পন্টিংয়ের কাছে সেরা
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব বোলারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রিকি পন্টিং। তালিকা করতে হলে নামের বেশ দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাবে। কোর্টনি ওয়ালশ থেকে শুরু করে ওয়াসিম আকরাম, মুত্তিয়া মুরালিধরন থেকে শুরু করে সাকলাইন মুশতাক, কাকে মোকাবিলা করেননি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক! তবে পন্টিংয়ের কাছে সেরা কে? বল হাতে ২২ গজে কে সবচেয়ে কঠিন সময় উপহার দিয়েছিলেন তাকে?
সাবেক অজি তারকা ব্যাটসম্যান বেছে নিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের একজন বোলারকে। এটুকু বলার পর আর অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না যে, পন্টিংয়ের মুখোমুখি হওয়া সেরা ওভারটা ছিল মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজে।
Best over I ever faced. Class reverse swing at 90odd mph! https://t.co/EUdN9P64Cr
— Ricky Ponting AO (@RickyPonting) April 10, 2020
সেই বোলারের নাম অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভয়ঙ্কর এক ওভার করেছিলেন সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার। দারুণ গতির সঙ্গে রিভার্স সুইংয়ের সম্মিলনে একেবারে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিলেন প্রতিপক্ষের দলনেতাকে। সেই স্মৃতি এখনও তাড়া করে ফেরে পন্টিংকে। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে উইকেটের পেছনে হয়েছিলেন জেরেইন্ট জোনসের গ্লাভসবন্দি।
বুকে কাঁপন ধরানো সেই ওভারের কথা স্মরণ করে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পন্টিং লিখেছেন, ‘আমার জীবনে খেলা সেরা ওভার ওটা। দারুণ রিভার্স সুইংয়ের পাশাপাশি প্রত্যেকটা বলের গতি ঘণ্টায় নব্বই মাইলেরও বেশি ছিল!’
শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ম্যাচটা ২ রানে জিতেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে তাদের করা ৪০৭ রানের জবাবে অজিরা করে ৩০৮ রান। এরপর শেন ওয়ার্নের ঘূর্ণি জাদুতে পরের ইনিংসে মাত্র ১৮২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন ফ্লিনটফরা। আর চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের সমীকরণ মেলাতে অল্পের ব্যর্থ হয়েছিলেন পন্টিংরা। কেবল তা-ই নয়, সেবার দীর্ঘ ১৯ বছর পর অজিদের হারিয়ে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিল ইংলিশরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ তারা জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে।
Comments