স্বামীর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসা অবহেলাকে দায়ী করলেন পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রী

যশোরে চিকিৎসক-নার্সদের অবহেলায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন।
OC's husband died.jpg
স্বামীর মরদেহের পাশে স্ত্রী রোকসানা খাতুনের আহাজারি। ছবি: স্টার

যশোরে চিকিৎসক-নার্সদের অবহেলায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন।

গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী রেলওয়ে কর্মী আহসানুল ইসলাম (৪৮)।

ওসি রোকসানা খাতুন জানান, তার স্বামী আহসানুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করতেন। তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। বৃহস্পতিবার আহসানুলের বুকে ব্যথা ও শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ, যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় তার স্বামী মারা গেছেন।

জরুরি এই রোগীকে অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মৃত্যুর আগে আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল যে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে সময় দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক ওষুধ লিখে রোগীর পায়ের কাছে রেখে চলে যান। শ্বাসকষ্ট হলেও তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করছে। তাদের দাবি, কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যাওয়া ওই রোগীর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা হয়নি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর চিকিৎসক তাকে দেখে চিকিৎসাপত্র দেন। হাসপাতাল থেকে যা সরবরাহ করার, তা রোগীকে দেওয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে ওষুধ আনার দরকার ছিল। রোগীর পাশে তার কোনো লোক না থাকায় সেটা আনা হয়নি।’

অক্সিজেন কেন দেওয়া হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘অক্সিজেন দেওয়ার দায়িত্ব নার্সের। কেন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি, তা এখনো সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা আমাকে জানাননি।’

Comments

The Daily Star  | English

DHL, Daily Star honour five business luminaries for outstanding achievements

The theme of this year's event is "Bangladesh on the rebound".

3h ago