ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: পত্রিকা পড়ে সঠিক তথ্য জানুন
কোনো সঙ্কট বা মহামারির সময় ভুল তথ্য এবং গুজব খুব বড় রকমের হুমকি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় এমন ভুল তথ্য এবং গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকটা ভাইরাসের মতো করেই।
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুল তথ্য এবং গুজব এতটাই বিপদজনক যে এটা মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলে দিতে পারে।
অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বর্ণনা করেছে ‘তথ্যাধিক্য’ হিসেবে। এর কিছু ঠিক এবং কিছু ভুল। এমন মিশ্র তথ্যের কারণে কারো যখন নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রয়োজন হয়, তখন তা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু গুজব ছড়িয়ে পরেছে। এসব প্রতিরোধ করতে কাজ শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।পত্রিকা পড়ে সঠিক তথ্য জানুন।ফেসবুকের গুজব থেকে দূরে থাকুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গুজব এবং রোগ নিরাময় নিয়ে মিথ্যা তথ্যের কারণে জনমনে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।’
শবনম আজিম জানান, দুই ভাবে ভুল তথ্য ছড়াতে পারে। একটি হচ্ছে কোনো বার্তার ভুল ব্যাখ্যা এবং অপরটি ভুল বার্তা।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো বার্তা দেওয়ার সময় তার স্পষ্টতা নিশ্চিত করা উচিত।’
গুজব প্রতিহত করার জন্য সঠিক তথ্য নিয়ে সর্ব সাধারণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়া হাউসগুলোর এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
‘গুজব ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব তথ্য বিশ্বাস করা এবং ছড়িয়ে দেওয়ার আগে এর উৎস সম্পর্কে সবার সতর্ক হতে হবে এবং কোনো গুজব দেখলে সবাই মিলে তা প্রতিহত করতে হবে,’ বলে তিনি যোগ করেন।
কেউ যদি ভুল তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করে তাহলে এর পরিণতি ভয়ানক হতে পারে জানিয়ে শবনম আজিম বলেন, ‘কদিন আগেই পড়লাম করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে কয়েকজন স্যাভলন পান করেছে এবং মারা গেছে।’
বিশ্বস্ত মিডিয়াগুলোকে সঠিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে পাল্টা যুক্তি দিয়ে গুজবের বিরোধিতা করে প্রতিবেদন প্রকাশের ওপরও গুরুত্ব দেন শবনম আজিম।
Comments