করোনা আইসোলেশন থেকে পালিয়েছে আসামি

যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে ভর্তি থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি জানালার গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে ভর্তি থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি জানালার গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়েছে।

গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ ১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আদালত থেকে সুজন মল্লিককে কারাগারে নিয়ে যায়। সেসময় তার শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেওয়ায় কারাগারের সহকারী সার্জন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে ভর্তি করে আইসোলেশনে পাঠায়।

হাসপাতালের আইসোলেশনে রোববার সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন ল্যান্সনায়েক নাজমুল ও কনস্টেবল আসাদ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের আইসোলেশনের দায়িত্বরত নার্স রাত ৯টার দিকে আসামি সুজনকে পানি দেয়। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে খাবার দিতে গেলে তার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়।

তারা দরজা খোলার চেষ্টা করে না পেরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে খুঁজে পায় না। পেছনের জানালার গ্রিল ভাঙ্গা দেখতে পায়।

যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসলিম আলমসহ পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল ও কারাকর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুষার কান্তি খান হাসপাতালের আইনসোলেশনের আসামি সুজন পালিয়ে গেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুর রহমান আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিসয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাকে আটকের জন্য পুলিশ ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে রাতেই। আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে আটক করা সম্ভব হবে।’

পালিয়ে যাওয়া আসামি সুজন মল্লিক (২৭) ওরফে শাকিল যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের গাজীপাড়ায়। তার মামলা নম্বর ২০, জিআর নম্বর ৩১২/২০ এবং হাজতি নম্বর ২২৪৯/২০।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

17m ago