আমাদের ইতোমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, বাসাবো এবং আরও কয়েকটি এলাকা বেশি সংক্রমিত হয়েছে। গতকাল সারা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রায় সব জায়গায় দেখা গেছে, জেলাতে যেখানে সংক্রমিত হয়েছে, সে ব্যক্তিগুলো, যারা সংক্রমিত করেছে, তারা বিশেষভাবে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। লকডাউন জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে এই এলাকাগুলো। প্রতিদিনই আমাদের লকডাউনের কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকদিন আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি নিজেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করছেন। উনার নির্দেশনাতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
‘কিন্তু, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখনো মানুষ লকডাউন পুরোপুরি মেনে চলছে না। আমরা দেখি, বাজারে অনেকে জটলা পাকিয়ে আছেন, অনেক লোকজন ঘোরাফেরা করছে, বাইরেও লোকজন অযথা ঘোরাফেরা করছে। এ জিনিসটি পরিহার করতে হবে। কারণ, যেখানে বাইরে ঘোরাফেরা করবে, সেখানেই সংক্রমিত হবে। আমাদের ইতোমধ্যেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া) হয়ে গেছে। সেটা যাতে না বাড়ে, সেদিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে’, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের হাসপাতাল, আমাদের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা মজবুত করছি। কিন্তু, আমাদেরকে বুঝতে হবে যে এই হাসপাতালে লাখ লাখ লোকের চিকিৎসা কোনো দেশই দিতে পারে না। আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের কোভিড মোকাবিলার যে মূল অস্ত্র, সেটা হলো ঘরে থাকা এবং ঘরে থাকা এবং পরীক্ষা করা, যার মাধ্যমে যারা সংক্রামিত রয়েছে তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা যাবে। তারা যাতে আর কাউকে সংক্রমিত করতে না পারে। এটিই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এদিকে আমাদের আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন:
Comments