মনে হচ্ছিল আমি ‘মরেই গিয়েছিলাম’: মালদিনি

ছবি: স্কাই স্পোর্টস

প্রায় সপ্তাহ খানেক হলো করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো মালদিনি। তবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসলেও শরীর এখনও দুর্বল তার। জিমে সামান্য কাজ করতে গিয়ে মরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ফ্রান্সিস্কো তত্তি, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো এবং হ্যাভিয়ার জেনেত্তির সঙ্গে স্কাই স্পোর্টসের লাইভে এসে এমনটাই বলেছেন মালদিনি। 

রোববার ইতালিয়ান লিগে খেলা এ চার কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠান আয়োজন করে স্কাই স্পোর্টস। চার জনই ইতালির চারটি জায়ান্ট দলে খেলেছেন। দেল পিয়েরো ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ে কাটিয়েছেন জুভেন্টাসে, জেনেত্তি ইন্টার মিলানে এবং তত্তি এএস রোমায়। তবে মালদিনি তার ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটিয়েছেন মিলানে। রাইভাল দলের হয়ে খেললেও লাইভে করোনাভাইরাস থেকে সচেতনতার কথা একসঙ্গেই বললেন তারা।

তার এক পর্যায়ে মিলানে আবার কবে থেকে পূর্ণোদ্দমে কাজ করবেন এমন প্রশ্নে নিজের শরীরের বর্তমান খবর জানিয়ে মালদিনি বলেন, 'আবার শুরু করা বেশ কঠিন, আজ আমি জিমে কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম, ১০ মিনিটের মতো সময়ে মনে হচ্ছিল আমি মরেই গিয়েছিলাম। এটা আমার বয়স ৫২ বছর হওয়ার কারণে নয় কিন্তু।'

গত ২১ মার্চ জানা যায়, মালদিনি ও তার ছেলেও আক্রান্ত করোনাভাইরাসে। এরপর থেকেই তাদের চিকিৎসা চলছিল হোম কোয়ারেন্টিনে। ছেলে দানিয়েল সপ্তাহ দুই আগেই অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পাওলোর সংবাদের অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। তবে দিন ছয় আগে তার সুস্থতার সংবাদ প্রকাশ করে লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত।

ইতালিয়ান দৈনিক কোরিয়েরে দেল্লে সেরাকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংগ্রামের বিশদ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মালদিনি। সেখানে এ কিংবদন্তি বলেছেন, 'আমি এখন ভালো বোধ করছি। খারাপ দিকগুলো চলে গিয়েছে। যদিও এখনও আমার কিছু শুঁকনো কাশি রয়ে গেছে। আমি আমার স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছি। আশা করি আমি খুব শিগগিরই এগুলোও কাটিয়ে উঠবো।'

কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এ কিংবদন্তি আরও বলেন, 'এটা বাজে একটি জ্বরের মতো ছিল। তবে স্বাভাবিক জ্বর নয়, আমি আমার শরীরকে চিনি, একজন অ্যাথলেট তার শরীর সম্পর্কে জানে। ব্যথা ছিল মারাত্মক আকারের এবং তারপরে এটি আপনার বুকে চেপে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। এটা নতুন ভাইরাস। শরীর এমন একজন শত্রুর সঙ্গে লড়াই করে যাকে সে চিনে না।'

শুরুর দিকের পরিস্থিতি ও করোনা থেকে মুক্তিতে নিজের চিকিৎসা পদ্ধতির কথাও জানান মালদিনি, 'আমি প্রথম উপসর্গ টের পেয়েছিলাম ৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার। তখন শরীরের গাঁটে এবং মাংসপেশিতে ব্যথা ছিল। তবে জ্বর কখনোই ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল না। পরের দিন শুক্রবারে আমার মিলানেল্লোতে (এসি মিলানের অনুশীলন মাঠ) যাওয়ার কথা ছিল তবে আমি ঘরেই থাকলাম। আমি মিলান-জেনোয়াও মিস করেছি। আমি কেবল মাত্র টচিপিরিন (এক ধরনের ওষুধ) দিয়ে আমার চিকিত্সা করেছি। আমি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করিনি কারণ আমার কখনই শ্বাসকষ্ট হয়নি।'

জুনিয়র-সিনিয়র মিলিয়ে প্রায় ৩২ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের পুরোটাই এসি মিলানে কাটিয়েছেন মালদিনি। অবসরের পর বর্তমানে রোজোনেরিদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার ১৮ বছর বয়সী ছেলে দানিয়েল চলতি মৌসুমেই মিলানের মূল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Violence against women, children: Over 35,000 cases unresolved for over 5 years

More than nine years have passed since a case was filed over the rape of a nine-year-old schoolgirl in Dhaka’s Khilkhet area. The tribunal dealing with the case has framed charges against the lone accused and held 96 hearings but is yet to complete the trial.

11h ago