শ্রমিক ছাঁটাই: গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

জোরপূর্বক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতদের দাবিতে গাজীপুরের সালনা ও টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে।
গাজীপুরের সালনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে অক্সফোর্ড গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। ছবি; সংগৃহীত

জোরপূর্বক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতদের দাবিতে গাজীপুরের সালনা ও টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে অক্সফোর্ড গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা।

বেতন দেয়ার সময় শ্রমিকদের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে জোর করে সই নেওয়া ও  পরিচয়পত্র রেখে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিকেরা জানান, কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মধ্যে যাদের চাকরিতে এক বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জোর করে ছাঁটাই ও আইডিকার্ড নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

গাজীপর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে দুপুর ২টার দিকে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহায়তায় শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিকপক্ষ আলোচনায় বসে।

এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গী বিসিকের আলাউদ্দিন অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড পোশাক কারখানার সামনে মার্চ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা।

কারখানার এক শ্রমিক জানান, ‘৯ এপ্রিল বেতন দেওয়ার কথা ছিল। ওইদিন কারখানায় এলে ১৩ এপ্রিল বেতন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সে অনুযায়ী আজ সকালে কারখানায় এসে দেখি বন্ধের নোটিশ।’

আরেক শ্রমিক জানিয়েছেন, যতদিন করোনাভাইরাসের মহামারী চলবে ততোদিন কারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কারাখানা কর্তৃপক্ষ।

টঙ্গী শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত তারিখেই শ্রমিকেরা সোমবার বেতনের জন্য করাখানায় এসেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ আগামী ১৬ এপ্রিল বেতন দেয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যায়।  

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrant workers in gulf countries

Can we break the cycle of migrant exploitation?

There has been a silent consensus on turning a blind eye to rights abuses of our migrant workers.

8h ago