পটুয়াখালীতে জীবাণুনাশক ও জরুরি ওষুধের সংকট

ছবি: রয়টার্স

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পটুয়াখালীতে জীবাণুনাশকসহ জরুরি ওষুধের সংকট শুরু হয়েছে। এ সংকটকে কাজে লাগিয়ে অনেক ব্যবসায়ী এসব ওষুধ বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালী শহরে ২ শতাধিকসহ জেলার ৮ উপজেলা মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার ওষুধের দোকান আছে। মানুষ এসব দোকান থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে থাকে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে বাজারে জীবাণুনাশকসহ নানা জরুরি ঔষধের চাহিদা বাড়তে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে- স্যাভলন, হেক্সিসল, ডেটল, সিভিট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি। ফলে বাজারে এসবের সংকট শুরু হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা দামে বিক্রি করছেন।

পটুয়াখালী শহরের শানিত বাগ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, স্যাভলন, হেক্সিসল, ডেটল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের দাম এবং সংকট দুটোই বাড়ছে। হেক্সিসল আগে ৪০ টাকা করে কিনতাম কিন্তু এখন ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এখন বাজার থেকে হেক্সিসল উধাও।

কলেজ রোড এলাকার রাবেয়া বেগম জানান, কিছুদিন আগেও ভালো মানের একজোড়া গ্লাভসের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা থাকল ছিল। কিন্তু, গত সপ্তাহ থেকে তা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার শারিকখালী গ্রামের সুলতান প্যাদা জানান, এখন নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে পাওয়া গেলেও তার দাম বেশি। নিম্নমানের অনেক মাস্কের এখন মুদি দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো অধিকাংশই স্বাস্থ্য সম্মত নয়।

পটুয়াখালী শহরের মল্লিকা মার্কেটের ঔষধ ব্যবসায়ী নিউ সাফা মেডিকেল হলের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, কোম্পানি থেকে সরবরাহ খুবই কম। আমরা চাহিদা মাফিক সরবরাহ না পাওয়ায় আমরা সংকটে পড়েছি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।

তিনি দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওষুধের দাম সবসময় একই থাকে। তাই দাম বেশি নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

পটুয়াখালী ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ও শহরের সদর রোডের আজাদ ফার্মেসির স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইসতিয়াক আহমেদ রাহাত জানান, চলমান করোনা সংক্রমণের কারণে অধিকাংশ ওষুধ কোম্পানি আমাদের চাহিদা মতো ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। তাই ওষুধের সংকট চলছে।

ওষুধ প্রশাসনের পটুয়াখালী তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ সুপার) মোঃ মহিব ইসলাম বাজারে ওষুধের সংকটের বিষয় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ওষুধের সংকট চলছে। আমরা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’   

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

2h ago