চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যু
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আসলে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা এলাকায়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল দিনগত রাত ৩টার দিকে ওই যুবক প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আসেন। তার স্বজনরা জানান, “পাঁচ দিন আগে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে যাওয়ার পর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় তারা করোনার উপসর্গ সন্দেহে গতকাল রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।” হাসপাতালে আনলে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে তিনি মারা যান।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হাবিবুল করিম বলেন, ‘আমরা করোনা পরীক্ষার জন্য মৃত যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তার মৃতদেহ এখনো হাসপাতালে রয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা করোনার সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.সাখাওয়াত উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৭৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তারা সবাই পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে আগত। করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ১০৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ জনের ফলাফল এসেছে। তাদের মধ্যে চার জনের পজিটিভ ও ৪৫ জনের নেগেটিভ এসছে। এ ছাড়া, বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চার জন।
তিনি আরও জানান, চাঁদপুর জেলায় এখন পর্যন্ত বিদেশফেরত ৪ হাজার ১৭৫ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের সময়ে শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল থেকে চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
Comments