করোনা চিকিৎসায়

১০ ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল

Ctg hospital
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ করোনাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ১৪ তলা ভবনে ১০টি ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ করোনাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নবনির্মিত এ ভবনটির পুরোটাই করোনাক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার পাশাপাশি ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও ফ্লু কর্নার চালু করা হচ্ছে।

আগামী সপ্তাহ থেকে আলাদা একটি গেট ব্যবহার করে ফ্লু কর্নারে করোনাক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরই সবচেয়ে বেশি রোগীকে সেবা দেয় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক এ হাসপাতালটি স্থানান্তরের জন্য আলাদা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এ দুর্যোগকালে আমরা গত শনিবার বোর্ড সভায় এই নবনির্মিত ভবনে করোনাক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বর্তমানে আমাদের এখানে ২০টি ভেন্টিলেটর আছে। এর থেকে ১০ ভেন্টিলেটর করোনাক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি।’

‘এছাড়াও, চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মতো আমরা সেন্টাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখছি,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অলাভজনক এ হাসপাতালটি সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের অনুদানে পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা মনে করছি, এ সময়ে আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারবো।’

পুরাতন হাসপাতাল থেকে আলাদা ভবন ও গেট ব্যবহার করা হবে বিধায় সংক্রমণ সাধারণ রোগীর মাঝে ছড়ানোর সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

বলেন, ‘প্রয়োজন হলে ২০ ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি পুরো আইসিইউ ইউনিট আমরা করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করতো পারবো।’

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

13h ago