তারা বিশ্বাসের অযোগ্য, ভারতীয় বোর্ডের উদ্দেশ্যে মানি

এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এতে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। তাই আগামীতে ভারতকে ছাড়াই পথ চলতে চায় তারা, জানিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ‘বিশ্বাসের অযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সবশেষ ২০০৭ সালে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এরপর মুম্বাই হামলার কারণে আইসিসি বা মহাদেশীয় আসর ছাড়া দুদলকে আর একসঙ্গে খেলতে দেখা যায়নি। গেল এক যুগে পাকিস্তানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সূচি থাকলেও চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সেসব থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও খেলতে সম্মত হয়নি তারা। আর অদূর ভবিষ্যতেও দুদলকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ভারতের সঙ্গে সিরিজ না হওয়ায় বিশাল অঙ্কের আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে পাকিস্তান। তবে এই ক্ষতি মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান মানি। সেকারণে তিন বছরের জন্য (২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত) নতুন যে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে যাচ্ছেন তারা, সেখানে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের কোনো উল্লেখ থাকছে না। কারণ, অতীতে খেলার আশ্বাস দিয়েও তা বেশ কয়েকবার ভঙ্গ করেছে বিসিসিআই।
মঙ্গলবার পিসিবি পডকাস্টে মানি ভারতীয় বোর্ডের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই (ভারতের সঙ্গে খেলতে না পারা) এটা বড় ক্ষতি, কিন্তু আমরা এটা নিয়ে ভাবছি না।… যদি এটা না হয়, তাহলেও ভালো, আমাদের তা মেনে নিয়েই চলতে হবে। এমন না যে, এটার উপর নির্ভর করেই আমাদের বাঁচতে হবে। প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে আমি এই পরিকল্পনার ব্যাপারে স্পষ্ট যে, আমরা তাদের সঙ্গে খেলছি না। কারণ অতীতে তারা দুই, তিনবার কথা দিয়েছিল যে তারা খেলবে, কিন্তু তারা সরে দাঁড়ায়… তাই তারা বিশ্বাসের অযোগ্য।’
‘অদূর ভবিষ্যতেও কোথাও ভারতের সঙ্গে খেলার ব্যাপারে আমরা তাদের (বিসিসিআই) উপর নির্ভর করতে পারি না। যদি এটা হয়, তাহলে হয় এশিয়া কাপে অথবা আইসিসি আসরে। আমরা সবসময় ক্রিকেট খেলাতেই বেশি আগ্রহী। আমরা ক্রিকেট ও রাজনীতিকে আলাদা রাখতে চাই। আমরা ভারতের মতো না।’
উল্লেখ্য, পিসিবির সবশেষ সম্প্রচার চুক্তি ছিল ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। কিন্তু ভারতের সঙ্গে দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ভেস্তে যাওয়ায় পুরো অর্থ পায়নি তারা। আগামীতে এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে রাজস্ব আদায়ের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে আশাবাদী আইসিসির সাবেক সভাপতি মানি।
Comments