করোনাভাইরাস ও যুদ্ধকালীন অর্থনীতি

বহুকাল আগে একজন মানুষ বুনো পথের সরু আইল ধরে এগিয়ে যান ভবিষ্যৎ খোঁজার জন্য। ৩০ মাইল এগোনোর পর পেয়ে যান পছন্দের জায়গাটা, যেখানে তিনি নিজের ঘর তৈরি করতে পারেন। পিঠের বস্তাটি নামিয়ে সেই অরণ্যেই ঘর বানালেন। পাশেই ছিল লেক। এর তীরে শুরু করলেন চাষাবাদ।
রয়টার্স ফাইল ছবি

বহুকাল আগে একজন মানুষ বুনো পথের সরু আইল ধরে এগিয়ে যান ভবিষ্যৎ খোঁজার জন্য। ৩০ মাইল এগোনোর পর পেয়ে যান পছন্দের জায়গাটা, যেখানে তিনি নিজের ঘর তৈরি করতে পারেন। পিঠের বস্তাটি নামিয়ে সেই অরণ্যেই ঘর বানালেন। পাশেই ছিল লেক। এর তীরে শুরু করলেন চাষাবাদ।

এরপর অন্য অভিযাত্রীরাও আসে। তারা কেউ আর ফিরেনি পুরনো জায়গায়। চার্চ হলো সেখানে, এরপর স্কুল। আইনজীবীরা এসে আইন তৈরি করলেন। রেলপথও হলো। শেষে পাওয়া যায় খনি। সেই সম্পদ থেকে সবচেয়ে কঠিন সময় আসে। শুরু হয় যুদ্ধ।

কথাগুলো ডায়ার স্ট্রেইটস এর টেলিগ্রাফ রোড গান থেকে নেওয়া।

সম্পদ দখল নিয়ে দৃশ্যমান আর অদৃশ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়েই পৃথিবী চলছিল। যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটা সম্ভাব্য মন্দা নিয়ে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ সবাই সতর্ক বার্তা দিচ্ছিল। কিন্তু, এক নিমিষেই তা থেমে গিয়ে বিশ্ব লিপ্ত হলো করোনাভাইরাসের সঙ্গে অন্যরকম এক যুদ্ধে। এ স্রেফ যুদ্ধ নয়। পরিণতিতে এটি বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভিনগ্রহীরা যেন পৃথিবী আক্রমণ করেছে। মানুষ দিশেহারা।

এখন সব দেশ যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেই যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে আমাদের দেশও। এর বিস্তৃতি আরও কত ভয়াবহ হবে তা করোনাভাইরাস বিস্তারের ওপর নির্ভর করছে।

যুদ্ধ অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে আসে। মন্দার ভয়াবহতার ছবি আছে এরিক মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস দ্য ব্ল্যাক অবিলিস্কে। মানুষ বাজারে পণ্য কিনতে যায় ভ্যানভর্তি টাকা নিয়ে। কারণ, উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায় শুরু হয় পণ্য স্বল্পতা। এর সঙ্গে অতি মুদ্রাস্ফীতি।

করোনাবিরোধী চলমান যুদ্ধ এরই মধ্যে মন্দা তৈরি করেছে। এখন এটি মহামন্দায় যাবে কিনা সেটা মানুষের দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে।

মন্দার পালে জোরেশোরে হাওয়া লেগেছে আমাদের দেশেও। প্রায় সবরকম উৎপাদন বন্ধ। ঘরে বসে রয়েছে কোটি কোটি লোক। এখন পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক উদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর অবয়ব আরও বাড়বে যদি রোগের বিস্তৃতি না থামে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কোথা থেকে আসবে এত টাকা। নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে ১৭ শতাংশ করেছে এসএলআর (স্টাটাচ্যুারি লিকিউডিটি রেশিও) ও সিআরআর। এর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়েছে ১৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। জনগণের মোট আমানতের একটা অংশ ব্যাংককে এসএলআর ও সিআরআর হিসেবে রাখতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমানতকারীর টাকাকেও সুরক্ষা দেওয়া হয়। ফলে এখানে আবার হাত দিলে ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হবে।

তাহলে বাকি টাকা আসবে কোথা থেকে? তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে সরকার টাকা নিতে পারে। প্রথমত, সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া যায়। এই পদ্ধতির নাম—উপায়, উপকরণ ও আগাম। কিন্তু, এভাবে সর্বোচ্চ চার হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায় ধার হিসেবে। ফলে সরকারকে এই নিয়মটি পরিবর্তন করতে হতে পারে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে উপায়, উপকরণ ও আগামের সীমা বাড়িয়েছে। সংকট মোকাবিলা করার জন্য দেশটি হাতে নিয়েছে মানিটরি ফ্যাইনান্সিং পদ্ধতি। কোনো দেশই স্বাভাবিক সময়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। কারণ, এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নোট ছাপিয়ে সরবরাহ করতে হয়। তৈরি হয় মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি। কিন্তু যুদ্ধ কোনো নিয়মই মানে না।

এই অবস্থা যদি তিন-চার মাস অব্যাহত থাকে তাহলে অনেক দেশে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে তাদের সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। এই পদ্ধতি ছাড়া আর কোনো উপায়ও অবশ্য নেই।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সরকার ব্যাংক থেকে এসএলআরের বাইরে যে ট্রেজারি বিল ও বন্ড আছে তা কিনে নিবে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এই রকম বিল-বন্ডে অতিরিক্ত এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা আছে। কিন্তু সবটাই কিনে নেওয়া যাবে না। কারণ, এর একটা অংশ মর্টগেজ রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে ব্যাংকগুলো। এই পদ্ধতিকে বলা হয় পুনঃক্রয় চুক্তি বা রিপার্চেজ এগ্রিমেন্ট (রেপো)। এখান থেকে ৩০-৪০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা সম্ভব।

তৃতীয় উপায় হচ্ছে—কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ধার দিবে রেপোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংককে। কোনো ব্যাংক টাকার সঙ্কটে পড়লে স্বল্পমেয়াদী ধারের এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। এক/দেড় মাস আগেও এই ধারের দৈনিক পরিমাণ ছিল ১০-১২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, এখন তা ২৮-৩০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। কারণ, মানুষ এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে দেদার।

কিন্তু, রেপোর মাধ্যমে টাকা ধার নিলে বাণিজ্যিক ব্যাংককে একটা নির্দিষ্ট অংকের সুদ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হয়। এই প্রক্রিয়ার নাম সেন্ট্রাল ব্যাংক পলিসি রেট (সিবিপিআর)। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিবিপিআর-এর ওপর সহজে হাত দেয় না। কারণ, এটা হচ্ছে সবধরনের আমানত ও ঋণের সুদের ভিত্তি হার। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটা হয়তো চার-পাঁচ বছরে একবার পরিবর্তন করে। কিন্তু, ১৮ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই দফা কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। এতে কম খরচে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা পাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মজার বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিবিপিআর কমাতে কমাতে এখন শূন্য শতাংশে নিয়ে এসেছে। তারপরও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।

এটা অনেকটাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, পরিস্থিতির সহসা উত্তরণ না হলে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সিবিপিআর আরও কমাতে হবে। এই তিন ধরনের প্রক্রিয়া হয়তো সরকার ব্যবহার করবে বাজারে টাকা সরবরাহ করার জন্য।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাজারে এরই মধ্যে সরবরাহ করা ১৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? মানুষ টাকা তুলে এখন স্রেফ নিজের বাসায় রেখে দিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য। এতে আরেক ধরনের বিপদ তৈরি হয়, তা হলো ‘ভেলোসিটি অব মানি’র কার্যকারিতা হ্রাস পায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাজারে যে এক হাজার টাকার নোট আমরা দেখি, তার মূল্যমান কিন্তু ওইটা না। এটা যতবার হাত বদল হবে ততবার মূল্য তৈরি করবে। আর তা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়ে আসে গতি। কিন্তু মন্দার সময় এই ভেলোসিটি ততটা কার্যকর থাকে না। ফলে প্রয়োজন হয় আরও টাকার।

সমস্যা আরও আছে, রপ্তানি আয় আর রেমিট্যান্সে ধস নামা শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপ লকডাউনে। তারা আমাদের রপ্তানি করা পণ্য কেন কিনবে। তেলের দাম ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে, কারণ বিশ্বের কোথাও তেমন কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। ফলে তেলনির্ভর মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিও স্থবির। ওই অঞ্চলের দেশগুলো এখন নির্মমভাবে শ্রমিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম ১০ দিনে সৌদি আরব দুই হাজার ৯২৮ জন ইথোপিয়ান শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে। ইথোপিয়া থেকে গরুর মাংস বহনকারী ফ্লাইট গিয়েছিল সৌদিতে। ওই বিমানে শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। হয়তো আমাদের প্রবাসীদের জন্য এই ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সঙ্কটে পড়তে পারে এবং একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।  

এখন পর্যন্ত সরকার যেসব প্যাকেজ নিয়েছে, এর অধিকাংশই কার্যকর হবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর। কিন্তু গরিব মানুষ আপৎকালীন খাবার পাবে কোথায়। ওএমএস-এর চাল দিয়ে তো সারাদেশের সঙ্কট মেটানো যাবে না। ফলে গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুত খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তা করা না হয়, ভয়াবহ সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হবে। কারণ, ক্ষুধা কাঁটাতার মানে না, রাষ্ট্রের সীমারেখাও চেনে না। ইউরোপের অন্যতম পাওয়ারহাউস ইতালিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে পুলিশি পাহারা বসাতে হয়েছে সুপারমার্কেট রক্ষা করার জন্য। যদি মানুষ খাবার না পায়, আমাদের দেশের অবস্থাসম্পন্ন পরিবারগুলোতে হামলা হবে। কেউ এ থেকে রেহাই পাবে না।

কিন্তু খাবার সরবরাহ করতে গিয়েও রয়েছে সমস্যা, এতে আছে ত্রাণ চোরদের উৎপাত। ফলে গ্রামের সম্মানিত মুরব্বী, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সংস্থার কর্মীদের নিয়ে এখনই কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

সঙ্কটের শেষ এখানেই নয়। ইতোমধ্যে পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু মানুষ টাকা খরচ করছে না, ফলে অধিকাংশ পণ্যের দাম কমবে। খাবার আর ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো সামগ্রী এই মুহূর্তে কেউ কিনবে না। অবশ্য এসব দোকানও বন্ধ। এক কথায় চাহিদা ব্যাপকভাবে কমতে পারে। যেকোনো মন্দার সময় এটাই হয়। ফলে ওই ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তখন ইনফ্লেশন হয় না, বরং ডিফ্লেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। আর যদি সত্যি সত্যি তা হয়, তাহলে দুর্ভিক্ষ লেগে যায়। ফলে টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকে না।

লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও আমাদের জন্য খুব একটা সুখপ্রদ দিন আসবে না। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে এই বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশে নেমে আসবে। আর আমার হিসাবমতে চলতি অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হবে। সাধারণভাবে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে টাকা সরবরাহ করে প্রবৃদ্ধি আর মুদ্রাস্ফীতিকে মাথায় রেখে। প্রবৃদ্ধিকে বাদ দিয়ে যদি টাকা সরবরাহ করা হয় তখন অতি মুদ্রাস্ফীতি (হাইপার ইনফ্লেশন) হয়। নিকট অতীতে জিম্বাবুয়ে এই ধরনের মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করছে। দেশটি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দিয়েছে টাকা ছাপিয়ে। এর ফলে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ে মিলিয়ন ডলারের নোট ছাপাতে বাধ্য হয়েছে। 

আমাদের এবার প্রবৃদ্ধি কম হবে। উল্টো টাকা সরবরাহ করতে হবে অনেক। বিশ্বের সব দেশ তাই করছে। সরকারের বেইলআউট প্যাকেজ দৃশ্যত ভালোই। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা নিয়ে। আর এই মুহূর্তে তা বাস্তবায়ন সম্ভব না। কিন্তু, ভাইরাসের প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গেই যদি এসব প্যাকেজ ব্যবহার করে কারখানাগুলো পুরো উদ্যমে উৎপাদন শুরু করতে পারে, তখন ওই সময়কার মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। এতে বাজারে পণ্যের সঙ্কট হবে না। পাশাপাশি যেকোনো উপায়ে কৃষিখাতে এখন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।

আমরা যদি আগামী এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে যেতে পারি, তাহলে উল্লেখ করা বেশকিছু সঙ্কট থেকে রেহাই পাব। অন্যথায় মন্দার অবয়ব বাড়বে। এর মানে হচ্ছে, আরও চাকরি হারানো এবং মধ্যবিত্ত ঘরের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে আকর্ষণীয় বিষয়ে পড়াশোনা করা সন্তানের চাকরি না পাওয়া। মানুষের না খেয়ে থাকা এবং সর্বোপরি দুর্ভিক্ষ। ফলে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ সাবধানে নিতে হবে। মানুষের অতীত অভিজ্ঞতা বলে এই কালবেলা একদিন শেষ হবেই। এখন পর্যন্ত সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজকের দিন পর্যন্ত এসেছে মানুষ। কিন্তু, যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আমরা বসবাস করি তার ভঙ্গুরতাও আমাদের ভাবনার খোরাক জোগাচ্ছে। কারণ, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধে আমরা এখন পর্যন্ত শুধু মার খেয়ে যাচ্ছি।

 

এ কে এম জামীর উদ্দীন: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দ্য ডেইলি স্টার

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago