শৈশবের ক্লাবেই থাকতে চান আর্জেন্টিনার রোহো

ছবি: এএফপি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে গত জানুয়ারিতেই ধারে আর্জেন্টিনার ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেস এলপিতে যোগ দিয়েছেন মার্কোস রোহো। তবে মাত্র এক ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে। এরপর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে গেছে সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন। ধারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। তবে শৈশবের ক্লাবে আরও কিছু দিন থাকতে চান তিনি। রিতিমতি আকুতি ঝরে এ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের কণ্ঠে।

২০১৪ বিশ্বকাপ দিয়ে নজরে আসেন রোহো। স্পোর্তিং সিপি থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তখন তাকে কিনে আনে ইউনাইটেড। ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর শুরুটাও খারাপ হয়নি রোহোর। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো দুঃসহ জীবন নেমে আসে তার। একের পর এক ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ারই পড়ে যায় হুমকির মুখে। তারপরও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে ফের নজর কাড়েন। ফলে তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় ইউনাইটেড। কিন্তু এরপরই আবার ইনজুরি।

সবমিলিয়ে ইউনাইটেডের পাঁচ বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে মাত্র ৭৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন রোহো। এরপর অনেকটা অনুরোধ করেই ছয় মাসের জন্য ধারে শৈশবের ক্লাবে ফিরে যান। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে ঠিকমতো না নামতেই মেয়াদ ফুঁড়িয়ে যাওয়ার দশা। গুঞ্জন উঠেছে মৌসুম শেষ হতেই ফিরিয়ে আনা হবে তাকে। যদিও এ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার এখন আশা করছেন কমপক্ষে এ বছর পর্যন্ত তাকে ঘরের ক্লাবে খেলতে দিবে ইংলিশ ক্লাবটি।

সম্প্রতি স্থানীয় রেডিও প্রোগ্রাম এস্তুদিয়ান্তেস ওয়াই সু জেন্তেতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'এটা যদি আমার উপর নির্ভর করে তবে এখানে আরও ছয় থাকার অনুমতি চেয়ে অবশ্যই আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করব। সামান্য কয়টা ম্যাচ খেলে যদি আমাকে ফিরে যেতে হয় তাহলে আমি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করব। আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট আছি এবং আরও খেলতে চাই।'

রোহোকে আরও কিছু দিন ক্লাবের রাখার জন্য চেষ্টা করছেন এস্তুদিয়ান্তেস কর্তৃপক্ষও। গত মাসেই চেয়ারম্যান ও সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা হুয়ান সাবেস্তিয়ান ভেরন বলেছিলেন, 'সবকিছু নিয়ে সে এখন (রোহো) ভালো আছে। মার্কোসের এখানে থাকার ব্যাপারটা আরও বাড়ানো হবে। কারণ এখন সব কিছুই থেমে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

48m ago