দেড় বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত পৌর মেয়র
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ রফিকুল আলম দীর্ঘ দেড় বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ঢাকায় বসে মোবাইলে আর অনলাইনে তিনি কাজ করেন। এতে পৌরসভার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
পৌর মেয়রের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছেংগারচরের পৌর সচিব শাহা সুফিয়ান খান।
তিনি জানান, দীর্ঘ দেড় বছর মেয়রের অনুপস্থিতির কারণে কিছু কাজে সমস্যা হলেও, আমরা প্রতি মাসে ঢাকায় গিয়ে মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসে বসে প্রয়োজনীয় সভাসহ অন্যান্য কাজ করে যাচ্ছি। জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় থাকার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও, সেটা পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ অন্যান্য কাউন্সিলররা দেখছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।
চাঁদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, আমরা মেয়র রফিকুলের অনুপস্থিতির বিষয়ে গত সাত মাস আগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। তার অনুপস্থিতির কারণে প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ১২ জন কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্সিলর বলেন, আমরা মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিলাম। কারণ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরীহ নাগরিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতেন। এতে করে এলাকার অনেকেই তার উপর ক্ষিপ্ত। রোষাণল থেকে বাঁচতে জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে মেয়র ছেংগারচর ছেড়ে পালিয়ে যান। এখনো তিনি পৌরসভার গাড়িটি ঢাকায় ব্যবহার করছেন। নিয়মিত বেতন ভাতাও তুলছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মেয়র রফিকুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার নেতা মোফাজ্জল হোসেন মায়া ভাইয়ের প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এলাকায় আসলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ জন্য আমি এলাকায় যাচ্ছি না।
তার দাবি, উচ্চ আদালতে রিট করে ঢাকায় বসে টেলিফোনে এবং অনলাইনে তিনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
Comments