ইমরানের চক্রান্তে বাদ পড়েছিলেন মিয়াঁদাদ!

বিতর্ক যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের আজন্ম বন্ধু। দলে রেষারেষি, কোন্দলও চিরচেনা সঙ্গী দলটির। তেমনই এক বিতর্ক অনেক বছর পর উস্কে দিলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি।

বিতর্ক যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের আজন্ম বন্ধু। দলে রেষারেষি, কোন্দলও চিরচেনা সঙ্গী দলটির। তেমনই এক বিতর্ক অনেক বছর পর উস্কে দিলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি। তার অভিযোগের তীর সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দিকে! ইমরানই নাকি চক্রান্ত করে দল থেকে ছেঁটে ফেলেছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো তারকাকে। এমনকি সেই চক্রান্তের অংশ ছিলেন বাসিত নিজেও!

ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই খ্যাতিমান ব্যাটসম্যান ফাঁস করেছেন তখনকার দলের গোমর। ঘটনা ১৯৯৩ সালের। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ততদিনে বিদায় নিয়েছেন ইমরান। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, তিনি কীভাবে চক্রান্ত করলেন? বাসিতের ভাষ্য, তখন ওয়াসিম আকরাম অধিনায়ক হলেও দলের কলকাঠি নাড়তেন ইমরানই।

ডাকাবুকো ব্যাটসম্যান হিসেবে পাকিস্তানে তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল মিয়াঁদাদের। তার বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানো হয় বাসিতকে, যিনি নিজেও মেরেকেটে খেলতে ওস্তাদ।

কিন্তু বাসিত এত বছর পর বলছেন, তিনি মিয়াঁদাদের কাছাকাছি মানেরও না, ‘বড়ে মিয়াঁ’কে দল থেকে বাদ দিতেই তার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছিল তখন, ‘মিয়াঁদাদকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার চক্রান্ত শুরুর পরই আমাকে ওর সঙ্গে তুলনা কর হতো। আসলে মিয়াঁদাদ যে মানের ক্রিকেটার, আমি তার এক শতাংশও নই।’

কেবল মিয়াঁদাদই নয়, টিম ম্যানেজমেন্টের এই কথিত চক্রান্তের কারণে তার নিজের ক্যারিয়ারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে মনে করেন বাসিত, ‘আমি মূলত চারে ব্যাট করে অভ্যস্ত। কিন্তু মিয়াঁদাদের বিকল্প বানাতে আমাকে ছয়ে খেলানো হয়, আমার ব্যাটিং গড় নেমে যায়। এভাবে আমি ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যাই। স্লো পয়জনিংয়ের মতো কাজ করেছে এই নীতি।’

১৯৯৩ সালে অভিষেকের পর ১৯ টেস্ট আর ৫০ ওয়ানডেতেই থেমেছে বাসিতের ক্যারিয়ার। দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে এলেও তিন বছরের বেশি লম্বা হয়নি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago