মালয়েশিয়ায় নামতে না পেরে ফিরে এলেন ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া সৈকত থেকে ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের হলবনিয়াপাড়া জাহাজপুরা সৈকত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা প্রায় দুই মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ট্রলারে করে সাগর পথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। সেখানে ভিড়তে না পেরে তারা আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, উদ্ধার হওয়া প্রত্যেক রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন শিবির থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে মানব পাচারকারি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে এই এলাকার সৈকতে এসে ভিড়ে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক ল্যাফট্যানেন্ট হামিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ৩৯৬ জনের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় ভিড়তে না পেরে ফেরত আসা প্রায় ৪ শ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আবার বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। ট্রলার থেকে নামিয়ে সাগর সৈকতের এক জায়গায় তাদের জড়ো করা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতো তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।’
উদ্ধার হওয়া এক রোহিঙ্গার উদ্বৃতি দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই মাস আগে প্রায় চার শ রোহিঙ্গাকে নিয়ে একটি ট্রলার সাগর পথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু, সেদেশে কড়াকড়ির কারণে ঢুকতে না পেরে পুনরায় ট্রলারটি বাংলাদেশে ফিরে আসে। ট্রলারটি এতদিন সাগরে ভাসমান ছিল। এরা সবাই টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা রোহিঙ্গা শিবিরে ছিল।’
Comments