‘না খাইয়া মরণ হইতাছে আমাগো, কেউ দেহে না’

মাদারীপুরে ত্রাণের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ছবি: স্টার

‘ঘরে ছোডছোড পোলা-মাইয়া। ভাতের জইন্যে খালি কান্দে। কী করুম আমরা? না খাইয়া মরণ হইতাছে আমাগো! কেউ দেহে না।’

ত্রাণের দাবিতে মাদারিপুরে সড়কে নেমে বিক্ষোভ জানাতে আসা আম্বিয়া বেগম বলছিলেন এসব কথা। বলেন, স্বামী রিকশা চালাতো, করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ।

সকাল ১১ টার দিকে জেলার মস্তফাপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে কয়েকশ মানুষ।

তাদের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ আগে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি নেন। কিন্তু এখনো তাদের কোনো ত্রাণ কিংবা খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। বারবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শুকুরজাত বেগম বলেন, ‘ঘরে এক ছটা চাউল নাই, কী খামু আমরা? এর থেইকা করোনায় মইরা যাওয়া ভালো।’

পরে পুলিশ গিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের ত্রাণ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

এ বিষয়ে মস্তফাপুর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আসেনি। আমার ইউনিয়নে ১০ হাজার লোকের ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু আসছে মাত্র ২০০। তাই সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে বিক্ষোভের খবর শুনে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছি। তিনি বলেছেন ওই এলাকার সবাইকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, কোন ঝামেলা নাই। চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্থানীয় কিছু কোন্দল থাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। তবে আমরা আগামী রোববারের মধ্যে ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে যেন সবাই ত্রাণ পায় সেই ব্যবস্থা করব।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago