ক্রিকেটে থাকলে ম্যানইউ তারকা হতে পারতেন ইংল্যান্ডের শচীন!
দারুণ সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ছিলেন ফিল নেভিল। জুনিয়র ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিতেন, নিতেন টপাটপ উইকেট। একই সঙ্গে ফুটবলটাও যে ভীষণ রপ্ত ছিল তার, তাই হয়ে গেলেন ফুটবলার। খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের হয়ে। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ মনে করেন নেভিল ক্রিকেটে থাকলে হতে পারতেন শচীন টেন্ডুলকার বা রিকি পন্টিংয়ের মতো বড় কেউ। আর তেমনটা হলে নাকি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাই হতো না ফ্লিনটফের।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসেনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রাইট ব্যাক পজিশনে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন নেভিল। তার সময়ে ম্যানইউ জেতে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ। একাধিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দলেও ছিলেন নেভিল। ফুটবল খেলেছেন ইংল্যান্ডের জাতীয় দলেও।
টকস্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ফ্লিনটফ স্মরণ করেছেন তার সময়ের সব্যসাচী এই স্পোর্টসম্যানের কথা। জুনিয়র ক্রিকেটে নেভিলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা জানান তিনি, ‘ল্যাঙ্গাশায়ারে ফিল নেভিলের সঙ্গে আমি জুনিয়র ক্রিকেট খেলেছি। সে আমার চেয়ে এক বছরের বড় ছিল। এবং সে ছিল দারুণ ক্রিকেট প্রতিভা। সে যদি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেত, যদিও বড় শোনাবে তবু বলছি, সে হতে পারত ইংল্যান্ডের রিকি পন্টিং বা শচীন টেন্ডুলকার। সে ওইরকমই ভাল ছিল।’
‘সে ওপেন করতে নামত এবং প্রতিবারই ১০০ মারত। এবং পরে বল করতে এসে সবাইকে আউট করে দিত। সে গতিশীল বোলার ছিল।’
ব্যাটে বলে সমান পারদর্শী। আবার ফুটবলে রাইটব্যাক পজিশনে আস্থাশীল মুন্সিয়ানা। ক্রিকেট, ফুটবলের বড় দুই ইংলিশ ক্লাব থেকেই প্রস্তাব পান নেভিল। লোভনীয় প্রস্তাবের মধ্যে বেছে নেন ফুটবল। ফ্লিনটফ মনে করেন নেভিল ক্রিকেটে থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর আগেই থামতে হতো তকে, ‘ল্যাঙ্গাশায়ারে তার চুক্তির প্রস্তাব ছিল বছরে আড়াই হাজার পাউন্ডের, আরেকটা প্রস্তাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে। সে ম্যানইউ বেছে নিল। সে ক্রিকেট চালিয়ে গেলে আমার ক্যারিয়ার ডার্বিশায়ার বা অন্য কোথায় শেষ হয়ে যেত(হাসি)।’
Comments