ঘরে ফেরা সবসময়ই আনন্দের: রোনালদো

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সতীর্থ ব্লেইস মাতুইদি যখন জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তখন পর্তুগালের নিজ বাসভূমি মাদেইরাতে মাকে দেখেতে গিয়েছিলেন। খবর পাওয়ার পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে যেতে হয় তাকে। এরপর থেকেই মোটামুটি গৃহবন্দী জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে। তবে মাসেইরাতে মাঝে মধ্যে অনুশীলন করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এবার শৈশবের ক্লাব ন্যাসিয়োনালের জাদুঘরে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়েছেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা।

স্পোর্তিং লিসবনে যোগ দেওয়ার আগে ন্যাসিয়োনালের জুনিয়র দলের হয়ে দুই বছর খেলেছিলেন তিনি। যদিও জুনিয়র পর্যায়ে তার শুরুটা আন্দোরিনহাতে। তবে নাসোনালে অনেক স্মৃতিই রয়েছে তার। এখানে ভালো খেলেই স্পোর্তিংয়ের নজরে আসেন তিনি। ন্যাসিয়োনালে যোগ দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১০। ক্লাবটি দুই বছরে অনেক পরিপক্ব হন। পরে মাত্র তিন দিনের ট্রায়ালে সুযোগ পান পর্তুগালের সেরা ক্লাবের খেলার। এরপর বাকিটা তো ইতিহাসই।

আর বর্তমানে সাবেক ক্লাব ন্যাসিয়োনালের চেয়েও অনেক বড় হয়ে উঠেছেন রোনালদো। তাই এ ক্লাবে তার সংশ্লিষ্ট সবকিছুই তারা আগলে রেখেছেন। স্থান দিয়েছেন নিজেদের জাদুঘরে। যা দেখতে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করেন। সেই জাদুঘরটি বুধবার দেখতে যান রোনালদো। তার স্মৃতির সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। পরে তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ন্যাসিয়োনাল।

রোনালদোর এ আকস্মিক সফরে ক্লাব ন্যাসিয়োনালও আহ্লাদিত। রোনালদোর ৩টি ছবি পোস্ট করে ন্যাসিয়োনাল ক্যাপশনে তারা লিখেছে, 'ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্প্রতি ক্লাবটির যাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। যেখানে তিনি তার সময়ের ট্রফিগুলো দেখেন এবং সিডি ন্যাসিয়োনালে নিবেদিত বিভাগটি দেখেন এবং সম্মানের বইটিতে স্বাক্ষর করেছেন।'

ন্যাসিয়োনালে গিয়ে সে ক্লাবটিকে রোনালদো তার নিজের ঘর বলেছেন বলেও জানায় ক্লাবটি, 'বিশ্বের সেরা ব্যক্তির কাছ থেকে একটি আকর্ষণীয় সফর আমাদের জন্য আনন্দের।, আজ তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই মুহূর্তটিকে চিহ্নিত করে বক্তব্য রেখে বলেছেন, ঘরে ফেরা সবসময়ই আনন্দের।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago