লকডাউনের মধ্যে দেশীয় মদ বিক্রি, জব্দ ১৮০ লিটার

বরিশালে লকডাউনের মধ্যে বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে নগরীর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে দেশীয় মদ বিক্রির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৮০ লিটার মদ জব্দ করেছেন। এই ঘটনার ছবি তোলায় বাংলাভিশনের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
বরিশালে বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে ১৮০ লিটার দেশীয় মদ জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে লকডাউনের মধ্যে বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে নগরীর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে দেশীয় মদ বিক্রির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৮০ লিটার মদ জব্দ করেছেন। এই ঘটনার ছবি তোলায় বাংলাভিশনের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

হামলার শিকার ভিডিও জার্নালিস্ট কামাল হোসেন জানান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে ভিড় দেখে ছবি তুলতে গেলে ওয়্যারলেস অপারেটর হাসিব, ড্রাইভার রাজন ও আউটসোর্সিং কর্মচারী রাকিব হামলা করে ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। হামলার কথা শুনে সাংবাদিক নেতারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদ জানান।

মদ নিতে আসা সুনীল জানান, তাদেরকে এখানে নির্ধারিত কোটার মদ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। আরেকজন রিচ্ছন্নতা কর্মী জানান, প্রায় প্রতি মাসেই তারা এখান থেকে দেশীয় মদ কিনে নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাইসেন্সধারী প্রায় ৭০ জন পরিচ্চন্নতা কর্মী এখান থেকে মদ পান। লিটার প্রতি সরকারি দর ৩০০টাকা হলেও অসাধু কর্মচারীরা খুচরা পর্যায়ে তা ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান জানান,  সম্ভবত ডিলার, সুনীল বাবু পারমিটধারীদের এখানে আসতে বলেছিলেন। সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় ১৮০ লিটার মদ জব্দ করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে এভাবে মদ বিক্রি করা যায় না। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে এসেছি। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের অবশ্যই শান্তি হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago