জাটকায় ভরে গেছে মানিকগঞ্জের হাট-বাজার
পদ্মা-যমুনাসহ মানিকগঞ্জের নদীগুলোতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন। আরিচা, পাটুরিয়া, তরা ও বেউথাঘাটসহ জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত ও হাট-বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকায় এ দিকে নজর দিতে পারছে না। তাই জাটকা ধরা সহজ হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
গত কয়েক দিনে মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা ঘাট, বান্দুটিয়া বাজার ও কাচারির মাঠ বাজারে এক থেকে চার ইঞ্চি দৈর্ঘের জাটকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ বাজারের চিত্র ছিল একই রকম।
মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, দুদিন আগে তিনি শহরের হিজুলী বাজার থেকে তিন শ টাকা কেজি দরে জাটকা মাছ কিনেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফণীভূষণ মালো দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জাটকা মাছ ধরা বন্ধে নদী পাড়ের কিছু জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এটি পর্যাপ্ত নয়। শুধু চাল হলেইতো হয় না। আরও সহায়তা প্রয়োজন। জেলেরা পেটের দায়েই মাছ ধরতে যায়।’
তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জে ২০ হাজারের উপরে জেলে পরিবার আছে। সরকারিভাবে কার্ড দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে। তাদের মধ্যেও অনেকে চাল পাচ্ছে না।’
এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মুনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত মা ইলিশ বা জাটকা ধরা নিষেধ। এই সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। ২ হাজার ৩৩৬ জেলে পরিবারের প্রত্যেককে গত দুই মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল দেওয়া হযেছে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই সহায়তা দেওয়া হবে। সবাইকে এই সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। যারা বাদ পড়েছে তাদের মধ্যে অতি দরিদ্রদের সহায়তা দেওয়া হবে।’
ইলিশ রক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জ নদী প্রধান জেলা হলেও টহল দেওয়ার জন্য আমাদের কোনো বোট নেই। তুলনামূলকভাবে লোকবলও কম। সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা সব সময় মনিটরিং করে যাচ্ছি। জাটকা নিধন বন্ধে আমরা শিগগির অভিযানে যাব।’
Comments