ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: ধূমপান ছাড়ার এখনই সময়
ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়ার সর্বোত্তম সময় হতে পারে চলমান করোনাভাইরাস মহামারির এই লকডাউনের সময়টি।
গতকাল শনিবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হাসান বলেন, ‘মানুষ এই সুযোগটি নিতে পারে। সঙ্কটের সময়ই সুযোগ নেওয়ার সময়। ধূমপায়ীরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হলে ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হবে না।’
তিনি জানান, অনেকে পরামর্শ দেন ধীরে ধীরে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার। কিন্তু, সেটা আসলে হয়ে ওঠে না। ধূমপায়ীদের উচিত হঠাৎ করেই একদিন ধূমপান ছেড়ে দেওয়া।
‘যত তাড়াতাড়ি ধূমপান ত্যাগ করবে, এটা তত তার জন্য ভালো হবে,’ তিনি যোগ করেন।
হঠাৎ করে ধূমপান ছেড়ে দিলে কিছু সমস্যা অনুভব হতে পারে অনেকের। সেক্ষেত্রে তাদের উচিত হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। মূল বিষয়টি হলো মানসিকতা। তিনি জানান, ধূমপায়ীদের মন চিত্তাকর্ষক কার্যক্রমে ব্যস্ত রাখা ভালো।
অধ্যাপক নাজমুল জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস স্বাভাবিক হতে হয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। তবে ধূমপান ছাড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই একজন ধূমপায়ী তার স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ্য করতে পারবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীরা কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘আপনি যদি কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হন তাহলে ধূমপান আপনার গুরুতর রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় চীনের কোভিড-১৯ সংক্রমিত এক হাজার ৯৯ জন রোগীর ওপর আলোকপাত করেছে। দেখা গেছে, গুরুতর লক্ষণযুক্ত ১৭৩ জন রোগীর মধ্যে ১৬ দশমিক নয় শতাংশ বর্তমানে ধূমপায়ী এবং পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ আগে ধূমপান করতেন।
করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং ধূমপান ফুসফুসকে দুর্বল করে দেয় জানিয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘এজন্যই অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীরা বেশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়তে পারে বলে পর্যবেক্ষণে পাওয়া গেছে।’
Comments