করোনাভাইরাস: প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তুলছেন মুশফিক

ইতিহাসরাঙানো সেই অমূল্য ব্যাটই নিলামে তুলতে যাচ্ছেন মুশফিক। উদ্দেশ্য, করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সহায়তা তহবিলে অনুদান দেওয়া।
Mushfiqur Rahim's Bat
ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান করেছিলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ইতিহাসরাঙানো সেই অমূল্য ব্যাটই নিলামে তুলতে যাচ্ছেন মুশফিক। উদ্দেশ্য, করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সহায়তা তহবিলে অনুদান দেওয়া।

রোববার তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিক নিলামের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘যে ব্যাট দিয়ে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, যেটা আমি ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলাম, সেই ব্যাটটি আমি নিলামে তুলতে যাচ্ছি। আমি দেশে ও দেশের বাইরের সকল সামর্থ্যবান মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা এই নিলামে অংশ নেবেন এবং যতটা বেশি সম্ভব দাম দিয়ে আমার ব্যাটটি কিনে নেবেন। আমি নিলাম থেকে অর্জিত অর্থ আমি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত মানুষদের সাহায্যার্থে ব্যয় করব। কীভাবে, কোথায় এই নিলাম হবে, তা শীঘ্রই আমি আপনাদের জানিয়ে দেব।’

মুশফিকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটের সঙ্গে আরও কিছু স্মারক নিলামে তুলতে যাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। এই নিয়ে কয়েকটি ই-কমার্স প্লাটফর্মের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। এর মধ্যে একটি ই-কমার্স প্লাটফর্মের সঙ্গে নিলাম প্রক্রিয়া পরিচালনা নিয়ে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সেই ব্যাট ছাড়াও আলোচিত কয়েকটি ম্যাচের প্যাড, গ্লাভস ও গত বিশ্বকাপের একটি ব্যাট নিলামে তুলবেন মুশফিক।

বাংলাদেশে অনলাইনে এরকম নিলাম আগে কখনো না হওয়ায় কী প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে তা নিয়ে আপাতত কাজ করছেন তারা। মুশফিকের ব্যাট ও স্মারকের নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি বিষয় চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবেন তারা। শুরুতে ব্যাটের কোনো ভিত্তিমূল্য রাখা হবে কি-না, দেশের বাইরে থেকে বিড করার সুযোগ কীভাবে রাখা হবে ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখছেন তারা।

তারা জানান, নিলামের অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়ে গেলে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারও তাতে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার ইতোমধ্যে নিলামে তোলার জন্য তাদের কিছু স্মারক আলাদা করে রেখেছেন।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের ক্রিকেটারদের স্মারক নিলামের তুলে করোনা তহবিলে সাহায্য দেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে সাকিবের এই আহবানের আগেই মুশফিক ব্যাট নিলামের তোলার ব্যাপার নিয়ে কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে সংকটময় সময়ে দেশের ক্রিকেটাররা অবশ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন শুরুতেই। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ও সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে খেলা ২৭ ক্রিকেটার দান করেন এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা। প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে থাকা ৯১ ক্রিকেটারও দান করেন মাসিক বেতনের অর্ধেক টাকা। সামর্থ্য অনুযায়ী কোয়াবের তহবিলে দান করেছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররাও। এছাড়া অনেক ক্রিকেটার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চালিয়েছেন সহায়তা কার্যক্রম। এছাড়া মুশফিক নিজ শহর বগুড়ার সদর হাসপাতালে দিয়েছেন ২০০ পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকের আছে সর্বোচ্চ তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। ৭০ টেস্ট খেলে দেশের হয়ে ৪ হাজার ৪১৩ রান করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago