ক্রিকেটারদের সতর্ক করল আইসিসি

ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে ক্রিকেটারদের সতর্ক করেছে আইসিসি।

করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে আছে ক্রীড়াঙ্গন। সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ অনেক দিন থেকেই। আবার কবে বল মাঠে গড়াবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর এই সময়ে ক্রিকেটারদের ফাঁদে ফেলতে তৎপর হতে পারে জুয়াড়িরা। তাই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে ক্রিকেটারদের সতর্ক করেছে আইসিসি।

চলমান লকডাউনের সময়ে বলতে গেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে তারা সময় দিচ্ছেন অনেক বেশি। আর সে সুযোগটা নিতে পারে জুয়াড়িরা। সাইবার জালের মধ্যেই লুকিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তারা। দেওয়া হতে পারে কোনো লোভনীয় প্রস্তাব। তাই খেলোয়াড়দের আরও বেশি সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখা।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘লকডাউনে ক্রিকেট পুরোপুরি বন্ধ। যারা দুর্নীতির জগতে পরিচিত, তারা এ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারে। তারা নেমেও পড়েছে। এখন সামাজিক মাধ্যমে খুব বেশি থাকছেন ক্রিকেটাররা। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলে পরে তা কাজে লাগাতে চাইবে দুর্নীতিগ্রস্তরা।’

কেউ কোনো প্রস্তাব দিলে কিংবা অসঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা করলে সঙ্গে সঙ্গেই তা আইসিসিকে জানানোর অনুরোধ বরাবরের মতো জানিয়েছেন মার্শাল, ‘এই সময়ে অপরিচিত কারোর থেকে ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব এলে তা সঙ্গে সঙ্গে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখাকে জানানো উচিত। ক্রিকেট বন্ধ থাকায় দুর্নীতির বাজারও মন্দা যাচ্ছে। অন্যদিকে, ক্রিকেটারদের আয়ও বন্ধ। অনেক ক্রিকেট বোর্ড বেতনে কাটছাঁট করছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই বুকিরা প্রস্তাব দেবে। তাই ক্রিকেট চালু হলেই ফের দুর্নীতি ঘটানোর জন্য ফাঁদ পেতে রয়েছে জুয়াড়িরা। এই ধরনের বিপদ সম্পর্কে ক্রিকেটারদের সচেতন থাকতে হবে।’

উল্লেখ্য, জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ আছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago