করোনা: ১০৪ দিন পর উহানের ফুটবল ক্লাবের আবেগঘন প্রত্যাবর্তন

wuhan zull
ছবি: সংগৃহীত

তিন মাসেরও বেশি সময় পর করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে ফিরতে পেরেছে সেখানকার ফুটবল ক্লাব উহান জুল। নানা জটিলতা কাটিয়ে স্পেন থেকে জার্মানি হয়ে অবশেষে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন দলটির স্থানীয় খেলোয়াড়রা। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে উহানের রেল স্টেশনে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।

চীনা গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নানা ধরনের শঙ্কা ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে ১০৪ দিন অতিবাহিত করার পর শনিবার ঘরে ফিরেছেন উহান জুলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্টেশনে জমায়েত হন শতশত সমর্থক। চাইনিজ সুপার লিগের ক্লাবটির পরিচয়বাহী কমলা রঙের জার্সি পরে, হাতে বিভিন্ন রকমের ব্যানার নিয়ে তারা হাজির হন। এমনকি গানও গাইতে দেখা যায় অনেক ভক্তকে। এসময় দীর্ঘ সফর শেষে ফেরা ফুটবলারদের মুখে ছিল মাস্ক। তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো হয় ফুলের তোড়া দিয়ে।

গেল জানুয়ারিতে যখন উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন চাইনিজ লিগের নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে স্পেন সফরে ছিল উহান জুল। তারা অবস্থান করছিল মালাগায়। কিন্তু স্পেনেও এরপর হানা দেয় কোভিড-১৯ রোগ। কিন্তু তখন আর উহানে ফেরার উপায় ছিল না ক্লাবটির। কারণ, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে ততদিনে গোটা শহর লকডাউন করে ফেলা হয়েছিল।

করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে দলটি এরপর স্পেন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বৈশ্বিক যাতায়াত ব্যবস্থা আর অবাধ না থাকায় নিজ ঘরে ফেরাটা সহজ হয়নি ফুটবলারদের। জার্মানিতে দীর্ঘ ট্রানজিট জটিলতা কাটিয়ে গেল ১৬ মার্চ চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর শেনজেনে পৌঁছায় তারা। সেখানে তিন সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ক্লাবের সবাই। এরই মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে উহানের উপর থেকে তুলে নেওয়া হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। অবশেষে গুয়াংজু থেকে ট্রেনে করে গোটা জুল দল পৌঁছায় নিজ শহরে।

উহান জুলের পক্ষ থেকে স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘তিন মাসেরও বেশি সময় ভবঘুরে অবস্থায় থাকার পর, ঘরে ফিরতে মরিয়া উহান জুল দলের সদস্যরা অবশেষে তাদের নিজ শহরে পা রেখেছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের পরিবারগুলোর সমর্থনের জন্য তাদের কাছে এই ক্লাব ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।’

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

2h ago