রায়নার প্রতি পক্ষপাত ছিল ধোনির: যুবরাজ
মহেন্দ্র সিং ধোনির কারণে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার এবার জানালেন, সুরেশ রায়নার প্রতি ধোনির পক্ষপাত মূলক অবস্থানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইউসুফ পাঠানও।
মহেন্দ্র সিং ধোনির কারণে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার এবার জানালেন, সুরেশ রায়নার প্রতি ধোনির পক্ষপাত মূলক অবস্থানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইউসুফ পাঠানও।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ঘরে বসে আছেন সবাই। আর এই সময়ে বিতর্কিত তেতো স্মৃতি তুলে আনার আদর্শ প্রেক্ষাপট দেখছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। ভারতীয় এক গণমাধ্যমে তেমন আরেক বিতর্কিত বিষয় তুলে এনেছেন যুবরাজ।
ধোনিরও আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম কুড়িয়ে তারকা বনেছিলেন যুবরাজ। কিন্তু ধোনি এসে ধাপে ধাপে হয়ে যান অধিনায়ক। জৌলুসের সঙ্গে ক্ষমতাও চলে যায় তার কাছে। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা যুবরাজ মনে করেন সেই ক্ষমতার চর্চা নায্যভাবে করেননি ধোনি, ‘সুরেশ রায়নার প্রতি অনেক সমর্থক থাকত। কারণ ওর পেছনে ধোনির আশীর্বাদের হাত ছিল। প্রত্যেক অধিনায়কেরই পছন্দের ক্রিকেটার থাকে। আমার মনে হয় মাহি তখন রায়নাকে প্রচুর সমর্থন করত।;
রায়নার সঙ্গে ধোনির বোঝাপড়া যে অনেক মজবুত ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখা গেছে তা। আইপিএলে দুজনকে বরাবরই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে দেখা গেছে।
সব অধিনায়কের কোন কোন পছন্দের ক্রিকেটার থাকলেও রায়নার প্রতি যেন একটু বেশি দরদ ছিল ধোনির। যুবরাজের মতে এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইউসুফ। ২০১১ বিশ্বকাপে নিরুপায় হয়ে তাকে দলে রাখলেও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রায়নার জন্য ছেঁটে ফেলা হয় পাঠানকে, ‘ইউসুফ পাঠান তখন ভালো খেলছিল। আমিও ছন্দে ছিলাম কিন্তু রায়না ভাল খেলছিল না। আমি একাদশে ছিলাম কারণ দলে বাঁহাতি স্পিনার ছিল না আর আমিও উইকেট পাচ্ছিলাম। কাজেই ওদের হাতে তখন বিকল্প ছিল না।’
যুবরাজ প্রসঙ্গ ক্রমে আবার টেনেছেন সৌরভ গাঙ্গুলিকে। তিনি মনে করেন ভারতের অনেক তারকাকে বিকশিত করেছিলেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভই, ‘দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলি) আমার প্রিয় অধিনায়ক। আমাকে প্রচুর সমর্থন করেছেন। আমাদের প্রতিভা বিকশিত হয়েছিল দাদার হাত ধরে।’
Comments