বরিশালে মদ বিক্রি ও সাংবাদিক নির্যাতন: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ২৬ কর্মকর্তাকে বদলি
বরিশালে লকডাউনের মধ্যে বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে দেশীয় মদ বিক্রি এবং এ ঘটনার ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালকসহ ২৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক শাখার উপসচিব মো. মামুনের সই করা গণবদলির চিঠি গতকাল রোববার রাতে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক একেএম হাফিজুর রহমানসহ তিন জন পরিদর্শক, চার জন উপপরিদর্শক, পাঁচ জন সহকারী পরিদর্শক, ছয় জন সিপাই, একজন হিসাব রক্ষক, দুই জন অফিস সহকারী, দুই জন গাড়িচালক, একজন অফিস সহায়ক কর্মকর্তা ও একজন ওয়্যারলেস অপারেটরকে বদলি করা হয়েছে।
বরিশালে বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১৮ এপ্রিল সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তিন জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন এবং তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা যে অভিযোগ দিয়েছে, সেই কারণেই হেড অফিস থেকে এই বদলির আদেশ এসেছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও প্রশাসনিক কারণে এই বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লকডাউনের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় লাইসেন্সধারী প্রায় ৭০ জন পরিচ্চন্নতাকর্মীর কাছে মদ বিক্রি শুরু করে। এই ঘটনার ছবি তুলতে চাইলে বাংলাভিশনের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
হামলার শিকার ভিডিও জার্নালিস্ট কামাল হোসেন জানান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে ভিড় দেখে ছবি তুলতে গেলে কার্যালয়ের ওয়্যারলেস অপারেটর হাসিবসহ তিন কর্মচারী হামলা করে ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।
Comments