ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: নিজেকে নতুন করে জানুন

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত। বাড়ছে ভাইরাস-আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
ছবি: সংগৃহীত

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত। বাড়ছে ভাইরাস-আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। ভয়ানক সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সারা দেশের সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা। তারপরও বেড়েই চলেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ যে কোনো মূল্যে জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা জানি দীর্ঘদিন ঘরে থাকা কঠিন। কিন্তু, এখন সময় আমাদের অনুকূলে না এবং এটা আমাদের মানতে হবে। আমরা অত্যন্ত গুরুতর পর্যায়ে রয়েছি এবং মহামারিটি কাটিয়ে উঠতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার একা সব কিছু করতে পারবে না।’

এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন, এই সংকটের সময়ে মানুষ নিজেদের নতুন করে সাজাতে পারে। সবার হাতে পর্যাপ্ত সময় রয়েছে এবং এর সঠিক ব্যবহার করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন শখ রয়েছে। এই বন্ধের সময়ে সেই শখগুলো আমরা পূরণ করতে পারি। আমাদের মধ্যে কেউ যদি বই পড়তে পছন্দ করে তাহলে তার যে বইগুলো এখনও পড়া হয়নি সেগুলো পড়ে নিতে পারেন।’

মা-বাবারা চাপের মধ্যে থাকলেও সন্তানরা যেন চাপে না থাকেন তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্তানদের ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় অতিবাহিত করুন। এই সময়ের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করুন।’

অধ্যাপক আবদুল্লাহ জানান, শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও একটি রুটিন বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, ‘হাইড্রেটেড থাকুন। এটি ঋতু পরিবর্তনের সময়। সাধারণ জ্বর বা কাশি বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ঘাবড়াবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। অবস্থা গুরুতর না হলে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো।’

আরও পড়ুন: ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: ধূমপান ছাড়ার এখনই সময়

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago