পটুয়াখালী ও খুলনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

পটুয়াখালী ও খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একজন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়।
রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পটুয়াখালী ও খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একজন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়।

পটুয়াখালী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (পরিচালক) মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন, শ্বাসকষ্টও বেড়ে যায়। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়ার্ডে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’

পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টার বলেন, ‘যেহেতু তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন, তাই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া, সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের সেহাকাঠি গ্রামে তার বাড়িসহ পুরো এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ প্রটোকল অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে।’

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ওই ব্যক্তির বাড়ি রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। তার স্বজনরা জানান, তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মোবাইল ফোন মেরামতের কাজ করতেন। গত পাঁচ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।

খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু তার করোনার উপসর্গ ছিল, সে কারণে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে।’

মৃত নারীর বাড়ি নগরীর লবণচরা এলাকায়। খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, গত ১৪ এপ্রিল থেকে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। যেহেতু তার শ্বাসকষ্ট ছিল, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Comments