বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দেশের বৃহত্তম করোনা আইসোলেশন সেন্টার

বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মাণাধীন দেশের বৃহত্তম করোনা আইসোলেশন সেন্টারে এখন পিভিসি ফ্লোরম্যাট বসানোর কাজ। আজকের মধ্যেই কাজটি শেষ হওয়ার কথা। দেড় লাখ বর্গফুটের এক্সপো ট্রেড সেন্টারটিতে ফ্লোরম্যাট বসানো হলেই শুরু হবে রোগীর বেড, ফার্নিচার, আগে থেকে তৈরি করে রাখা চিকিৎসক ও নার্সদের বহনযোগ্য কক্ষগুলো সাজানোর কাজ। এরপরই করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় দেশের বৃহত্তম হাসপাতালে রূপ নেবে আইসিসিবি।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম গতকাল বলেন, ‘আইসিসিবির ট্রেড সেন্টারটি অনেক বড় জায়গা। চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই ফ্লোরম্যাট বসানোর কাজ শেষ করতে। না পারলে কালকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর চিকিৎসকের চেম্বার, নার্স চেম্বার, ওয়ার্ক স্টেশন এগুলো লে-আউট করে ফার্নিচার বসানো শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করতে চাই। তারপরও দুই-এক দিন সময় বেশি লাগতে পারে। এখানে মোট আইসোলেশন বেড হবে ২ হাজার ১৩টি। ট্রেড সেন্টারে ছয় ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড বসবে। এ ছাড়া তিনটি কনভেনশন হলে থাকবে আরও ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে হবে ৭১ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।’

আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে মালামাল ও শ্রমিক আনা কঠিন ব্যাপার। তারপরও এই কয়দিনে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ যে পর্যায়ে এসেছে তা সন্তোষজনক। চিকিৎসক ও নার্সদের কক্ষগুলো তৈরি করে একপাশে রাখা হয়েছে। পিভিসি ম্যাট বসানো হলেই এগুলো এনে সেটআপ করা হবে। ১৬শ টন এয়ারকন্ডিশনার বসানো হয়ে গেছে। এগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে আড়াই হাজার কেভিএর একটি সাবস্টেশন বসানো হয়েছে। জেনারেটরও বসানো হয়েছে। আশা করছি তিন-চার দিনের মধ্যে হাসপাতাল ব্যবহারের উপযোগী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে মানসিক সম্পৃক্ততা থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ এ কাজে এগিয়ে এসেছে। যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে হাসপাতালটি সময়ের প্রয়োজন ছিল। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হাসপাতালটি তৈরি করছে। আমরা নানাভাবে সহযোগিতা করছি। দেড় লাখ বর্গফুট জায়গায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরির মতো এত বড় তাঁবু বাংলাদেশে নেই। আমরা এটা মালয়েশিয়া থেকে এনেছি।’

উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

2h ago