ইউএনওর প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

দ্য ডেইলি স্টার এর অনলাইন (বাংলা) সংস্করণে গত ২০ এপ্রিল ‘ধামরাইয়ে ইউএনও-ইউএইচএফপিও, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক।
The Daily Star logo

দ্য ডেইলি স্টার এর অনলাইন (বাংলা) সংস্করণে গত ২০ এপ্রিল ‘ধামরাইয়ে ইউএনও-ইউএইচএফপিও, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিবাদপত্রে তিনি দাবি করেছেন, ইউএইচএফপিও যখনই চেয়েছেন তখনই তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কোনো কাজে ইউএনও জড়িত নন। তাহলে কীভাবে ইউএনও’র কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে, তা তার বোধগম্য নয়।

‘করোনা প্রস্তুতিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি প্রাইভেটকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কোনো আলোচনা হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশের কোনো উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার কোনো নজির নেই। অথচ তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই একপেশে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।’

ইউএইচএফপিও’র উদ্ধৃত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ইউএনও বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন রোগী মারা যাওয়ার কোনো তথ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউএনওকে অবহিত করেননি এবং দাফন সংক্রান্ত কোনো সহায়তাও চাওয়া হয়নি। তাই এ ব্যাপারে ইউএনও কোনো গাফিলতি নেই।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী কর্মী ও বহিরাগত একজনের করোনা শনাক্ত হলেও ইউএনওকে তা জানানো হয়নি। কোভিড-১৯ আক্রান্ত নারী কর্মীর তথ্য ইউএইচএফপিও গোপন করেছেন। করোনা রোগী শনাক্ত হলে রোগীর নাম ও ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরবরাহ না করায় রোগীর বাড়ি ও সংশ্লিষ্ট এলাকা লকডাউন ঘোষণা এবং রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়। আইইডিসিআর থেকে আক্রান্ত একজনের তথ্য পাবার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকা লকডাউন ঘোষণা করাসহ তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য ধামরাই থানার ওসিকে টেলিফোনে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কোনো সহযোগিতা এখন পর্যন্ত চাওয়া হয়নি।

‘…ধামরাইয়ের কৃষ্ণনগর এলাকায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চার জনকে কোয়ারেন্টিন করে রাখার বিষয়েও ইউএনও অবহিত ছিলেন না।’

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘করোনাকালে ইউএনওর ভূমিকা নিয়ে পৌর মেয়র ও থানার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ক্ষোভ’ প্রসঙ্গে প্রতিবাদপত্রে ইউএনও বলেন, প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মেয়র গোলাম কবির মোল্লা এবং ধামরাই থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা দুজনেই কিছু জানেন না বলে তাকে জানিয়েছেন (অডিও ক্লিপ যুক্ত)।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রতিবেদনটি উদ্দেশমূলক নয় এবং প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো মতামত প্রকাশিত হয়নি। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত প্রত্যেকের বক্তব্যের বিপরীতে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ, অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

11h ago