‘ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান অনেক ভালো’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: অনলাইন ব্রিফিং থেকে নেওয়া

প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৪৫ দিনে বাংলাদেশের অবস্থান ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম আক্রান্তের পর থেকে ৪৫ দিনে বাংলাদেশে ৩ হাজার ৭৭২ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১২০ জন মৃত্যুবরণ করেছিল (গতকালের হিসাব অনুযায়ী)। ইতালিতে প্রথম আক্রান্ত যখন হয়, তার ৪৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃত্যুবরণ করেছিল প্রায় ১১ হাজার। স্পেনে একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ এবং মৃত্যুবরণ করেছিল ১০ হাজার। আমেরিকাতে ৪৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার এবং মৃত্যুবরণ করেছিল ২৪ হাজার। এই তুলনা করলে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশে প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান অনেক ভালো।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন খবরের কাগজ ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার এরকম কোনো ধরনের ব্যবস্থা করে নাই। সবার জন্য একই হাসপাতাল এবং একই চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

‘আমি আরও আহ্বান করব, কেউ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের বিবৃতি দেবেন না। যার কারণে, ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং যা সরকারি নীতি বহির্ভূত’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো হাসপাতালই লকডাউন করা হয়নি এবং হবে না। অন্যান্য হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা বজায় আছে এবং থাকবে। আমাদের সব হাসপাতালে যেসব ওষুধ সরকার দিয়ে থাকে, সেগুলো সরবরাহ এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’

‘আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন জায়গায় নকল মাস্ক ও পিপিই ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে— বিক্রয় ও প্রস্তুতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য। যা চলমান রয়েছে’, যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:

করোনায় দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪১৪

দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়াল, মোট মৃত্যু ১২৭

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

9h ago