ব্র্যাকের মাধ্যমে ১ লাখ পরিবারের দুই সপ্তাহের খাবার দেবে জিপি

ভিডিও কনফারেন্স। ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী চলমান সাধারণ ছুটির কারণে দেশে অন্তত ১৪ শতাংশ পরিবারের ঘরে কোনো খাবার নেই। আর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৭২ শতাংশ মানুষ। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন। এক লাখ পরিবারের দুই সপ্তাহের দায়িত্ব নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্র্যাকের মাধ্যমে ওই এক লাখ পরিবারের প্রতিটিকে দেড় হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে তারা।

‘ডাকছে আমার দেশ’ নামের একটি যৌথ প্ল্যাটফর্মের আওতায় গ্রামীণফোন এবং ব্র্যাক পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে।

আজ শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ব্র্যাক বলছে, তাদের লক্ষ্য অন্তত দুই লাখ পরিবারকে দুই সপ্তাহের খাদ্য সহায়তা দেওয়া। তার জন্যে ৩০ কোটি টাকা প্রয়োজন। গ্রামীণফোন এক লাখের দায়িত্ব নিয়েছে। বাকি এক লাখের জন্য তারা সবাইকে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি খাতকে এগিয়ে এসে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি সামর্থ্যবান সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগে অথবা সরকারি সংস্থাগুলোর নেওয়া অন্য উদ্যোগগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘করোনা কেবল স্বাস্থ্য বিষয়ক মহামারিই নয়, এটা মানবিক সংকট।  ইতোমধ্যে তারা ২ লাখ পরিবারের জন্য ৩০ কোটি টাকা সহায়তায় অঙ্গীকার করেছে। আর গ্রামীণফোনের উদ্যোগ ও সহায়তা আরও বড় পরিসরে কাজ করতে সাহায্য করবে।’

তিনি বলেন, ‘বেশি ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী কিংবা স্তন্যদানকারী মা, নারী উপার্জনকারীর ওপর নির্ভরশীল পরিবার, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং অন্য কোনো উৎস থেকে সহায়তা বঞ্চিত ব্যক্তি ও পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্র্যাক নিজেদের কাজ অব্যাহত রাখবে।’

ব্যক্তিপর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার জন্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়েছে।  ব্যাংক হিসাব নাম:  ব্র্যাক, হিসাব নম্বর: ১৫০১২০-২৩১৬৪৭৪০০১, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান ১, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা।  বিকাশ নম্বর: ০১৭৩০৩২১৭৬৫।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago