টেন্ডুলকারকে স্লেজ করে পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকলাইন

saqlain mushtaq and sachin tendulkar
ছবি: টুইটার

কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিসেবে শচীন টেন্ডুলকারের সমাদর বিশ্বজোড়া। ক্রিকেটীয় স্কিলের পাশাপাশি মাস্টার ব্যাটসম্যানের আচরণও নানান সময়ে পেয়েছে প্রশংসা। নিপাট ভদ্রলোক শচীনকে স্লেজ করেও তেমন একটা সুবিধা পেত না প্রতিপক্ষ। কারণ তাকে যে রাগানোই যেত না। সাবেক পাকিস্তানি অফ স্পিনার সাকলাইন মুশতাক জানালেন, শচীনকে উত্যক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে বিব্রত হয়ে পরে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল তাকে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তখন সাকলাইন খুবই তরুণ। কানাডার টরন্টোতে সাহারা কাপে ভারতের বিপক্ষে নেমেছিলেন তিনি। শচীনের ৪৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ভারতীয় একটি বার্তা সংস্থাকে এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি স্পিনার জানান তার সেদিনের অভিজ্ঞতা, ‘১৯৯৭ সাল। আমি তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন এসেছি। কানাডায় সাহারা কাপে শচীনকে প্রথমবার স্লেজ করেছিলাম।’

‘আমার স্লেজ শুনে শচীন সামনে এসে আমাকে বলল, “আমি তো তোমার সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করিনি। তুমি তা হলে এরকম আচরণ করছ কেন?” সেদিন শচীনের এই কথায় খুবই লজ্জিত হয়ে পড়ি। কী উত্তর দেব বুঝতে পারছিলাম না।’

নিজের স্থিরতা, ধৈর্য দিয়ে তখনকার তরুণ সাকলাইনকে মুগ্ধ করে ফেলেছিলেন শচীন। এতটাই যে খানিক অনুশোচনায় ভোগা পাকিস্তানি স্পিনার পরে রীতিমতো নিজের আচরণের জন্য ক্ষমাই চেয়েছেন, ‘শচীন পরে আমাকে জানায় মানুষ ও ক্রিকেটার হিসেবে সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান ও গুরুত্ব দেয়। এরপর শচীনকে আর কোনোদিন খারাপ কথা বলিনি। সেদিন শচীনকে কী বলে স্লেজ করেছিলাম তা এখন আর বলতে চাই না। মনে আছে, ম্যাচের পর ওর কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম।’

টরন্টোর সে ম্যাচে ২০৮ রান করে ভারত জিতেছিল ২০ রানে। সাকলাইন স্মরণ করেছেন ১৯৯৯ সালের চেন্নাই টেস্টের কথা। উত্তেজনাময় সে টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচেও উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন দুদলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। যদিও শচীন যোগ দেননি কথার লড়াইয়ে। বরং পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে শচীনের ব্যাটই ছিল জবাবের হাতিয়ার, ‘ওই ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। কিন্তু শচীনের সঙ্গে কোনো কথা কাটাকাটি হয়নি। আমরা যার যার দেশকে জেতাতে চেষ্টা করেছি। আমি শচীনকে দুই ইনিংসেই আউট করি।’

‘দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াসিম (আকরাম) ভাইকে খেলা কঠিন ছিল। কিন্তু শচীন তাকে অনায়াসে খেলে সেঞ্চুরি করে ফেলে। আমার দুসরাকে সবাই ভয় পেত। কিন্তু শচীন তা পড়ে নিয়ে আগেই খেলে দিত।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago