চাকরি হারালেন ৭০৯ পোশাক শ্রমিক, আশুলিয়ায় বিক্ষোভ

সাভারের আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানার ৭০৯ জনকে শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নরশিংপুর এলাকার সিগমা ফ্যাশন লিমিটেড নামে কারখানার দেয়ালে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের নামের তালিকা টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
Savar_garments_worker
ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানার ৭০৯ জনকে শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নরশিংপুর এলাকার সিগমা ফ্যাশন লিমিটেড নামে কারখানার দেয়ালে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের নামের তালিকা টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।

নোটিশে বলা হয়, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সব ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত করাখানা লে-অফ ঘোষণা করা হলো। এ অবস্থায় কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই নোটিশে থাকা শ্রমিক ও কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১২, ১৬ ও ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল থেকে ছাঁটাই করা হলো। সরকারি ডাক বিভাগ খোলা সাপেক্ষে শ্রমিকদের স্থায়ী ঠিকানায় ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানো হবে।

ছাঁটাই হওয়া এক নারী শ্রমিক বলেন, করোনার কারণে কারখানা বন্ধ হলো। আমরা যার যার বাসায় অবস্থান করছি। ঘর ভাড়া বাকি আছে, ঘরে চাল নেই, বাড়ি যে যাব সেই টাকাও নেই। আর চাইলেই তো বাড়ি যেতে পারছি না। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের এভাবে ছাঁটাই করল, আমরা এখন কী করবো? চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।

মামুন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ছাঁটাই মানি না। আমরা চাকরি ফিরে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাস্তবায়ন চাই।’

এ বিষয়ে স্থানীয় শ্রমিক নেতা আল-কামরান বলেন, ‘এই দুর্যোগের মধ্যে পোশাক কারখানায় লে-অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সংকটে চাকরি হারালে শ্রমিকদের মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার কারখানা মালিকদের বলা হয়েছে, তারা যেন শ্রমিক ছাঁটাই না করেন। তারপরও প্রতিনিয়ত ফোন পাচ্ছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago