স্যার আবেদ: ভাবনাজুড়ে যার মানুষ

মানুষের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা নিয়ে কাজের স্বপ্ন দেখলে একজন মানুষ তার চারপাশ, তার দেশ, এমনকি পৃথিবীও বদলে দিতে পারেন। যেমনটা বদলে দিয়েছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার ভাবনাজুড়ে ছিল শুধু মানুষ। সে কারণেই তো মৃত্যুর আগে তিনি বলতে পারেন, ‘আমি তৃপ্ত যে আমার জীবন বৃথা যায়নি।’
Sir-Abed
স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: সংগৃহীত

মানুষের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা নিয়ে কাজের স্বপ্ন দেখলে একজন মানুষ তার চারপাশ, তার দেশ, এমনকি পৃথিবীও বদলে দিতে পারেন। যেমনটা বদলে দিয়েছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার ভাবনাজুড়ে ছিল শুধু মানুষ। সে কারণেই তো মৃত্যুর আগে তিনি বলতে পারেন, ‘আমি তৃপ্ত যে আমার জীবন বৃথা যায়নি।’

আচ্ছা বেঁচে থাকলে করোনার এই সংকটকালে কী নির্দেশনা দিতেন তিনি? বেঁচে থাকলে হয়তো প্রশ্নটা করা যেত। সঙ্গে ২৭ এপ্রিলের জন্মদিনের শুভেচ্ছাটাও জানানো যেত। কিন্তু, সেই সুযোগ নেই। কারণ সবাইকে কাঁদিয়ে চার মাস আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। জন্মদিনে তাই এই মহামানবকে শ্রদ্ধা জানাতে কিছু কথা।

প্রায় ১৫ বছর সাংবাদিকদের সুবাদে এদেশের অনেক মানুষকে কাছ থেকে দেখা হয়েছে। দূর থেকে একজনকে যতটা বড় মনে হয়, কাছে গেলে অনেক সময়ই সেই বড়টা আর লাগে না। অথচ আবেদ ভাইয়ের কাছাকাছি গেলে যে কারো মনে হবে, তিনি সবার ভাবনা বা জানার চেয়েও অনেক বড়। কিন্তু, ভীষণ বিনয়ী। মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে নানাজনের স্মৃতিকথায়ও সেই বড়মাপের কথা উঠে এসেছে। জাদুর কাঠির মতো মানুষকে বদলে দিতে পারতেন তিনি।

প্রায় ১৪ বছরের টানা সাংবাদিকতার বিরতিতে স্যার আবেদের ব্র্যাকে যোগ দিয়েছিলাম ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। লিফটে স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে কয়েকবার। কারণ, তিনি অন্যদের সঙ্গেই লিফটে উঠতেন। তার জন্য কখনো লিফটকে অপেক্ষা করাতেন না। ব্র্যাকের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও টুকটাক কথা হয়েছে। কিন্তু, তার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের স্মৃতি আছে একবারই যা কখনো ভোলার নয়। নাটকীয়ভাবেই সেই আলাপ।

দিনটা ছিল ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মিটিং শেষে ফেরার পথে ফোন এলো ব্র্যাকের টেলিফোন নম্বর থেকে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আবেদ ভাইয়ের পিএস হেলাল ভাই জানালেন, ‘চেয়ারপারসন কথা বলবেন।’ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না চেয়ারপার্সন কেন কথা বলবেন? ফোন ধরতেই ওই প্রান্ত থেকে আবেদ ভাই বললেন, ‘মেয়েটাকে তোমরা নিলা না কেন?’ আমি প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি। জানতে চাইলাম, ‘কোন মেয়েটা?’ তিনি বললেন, ‘ওই যে তোমাদের প্রোগ্রামে ইন্টার্নশিপ করলো।’ মনে পড়লো অবসরে যাওয়া এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মেয়ে। উত্তরে বললাম, ‘লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর না পাওয়ায় তাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়নি।’ আবেদ ভাই আর কোন প্রশ্ন না করে ‘ঠিক আছে’ বলে ফোন রাখলেন।

ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিল। কোনো বিষয়ে মন খারাপ হলে বা ব্যাখ্যা না পেলে স্বস্তি হয় না। সেদিনও হচ্ছিল না। গাড়িতে বসা সহকর্মীকে বললাম, ‘অফিসে গিয়েই আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাই।’ ব্র্যাকে যোগ দেওয়ার তখন সবে মাত্র চার মাস পেরিয়েছে। আমার সহকর্মীটির ধারণা আমি বোধ হয় রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। তবে আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন কোনো সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গত মনে না হলে আমি সেটার ব্যাখ্যা খুঁজতে থাকি।

অফিসে পৌঁছেই ব্র্যাক সেন্টারের ১৯ তলায় স্যার আবেদের রুমের সামনে গেলাম। তিনি প্রায় প্রতিদিন অফিসে আসেন। সারাদিন কাজ করেন। প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকেন। হুট করে কাউকে সময় দেওয়া কঠিন। তাঁর রাশভারি পিএস হেলাল ভাইয়ের কাছে গিয়ে বললাম, ‘আবেদ ভাই একটা বিষয় নিয়ে আমাকে ফোন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাই।’ তিনি আমার চেহারার দিকে তাকালেন। কী বুঝলেন কে জানে? তিনি ভেতরে গেলেন। এরপর এসে আমাকে বললেন, ‘অপেক্ষা করেন। একটা মিটিং করছেন। শেষ হলে আপনাকে ডাকবেন।’

ওই বৈঠকের পর আমার ডাক পড়ল। আমি আবেদ ভাইয়ের রুমে গিয়ে কিছুটা অভিমানের সুরেই বললাম, ‘আপনি যে বিষয়ে ফোন দিয়েছিলেন আমি সেটা নিয়ে বলতে এসেছি। মেয়েটা লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর পায়নি। কাজেই নিয়ম অনুযায়ী, তার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আর আমার নিজের মনে হয়েছে, বেসরকারি সংস্থার চেয়ে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গেলে সে ভালো করবে। তাকে সেই পরামর্শ দিয়েছি।’ আবেদ ভাই আমাকে বললেন, ‘তুমি ঠিক কাজ করেছো।’

ছোট্ট এই ঘটনাটি বলার কারণ- প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া। তিনি চাইলেই অন্য সব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতো বলতে পারতেন, ‘ওমুককে নাও।’ কিন্তু, তিনি সেটা করেননি। ব্র্যাকে আমার তিন বছর হলো। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘ব্র্যাকের কোন জিনিসটা তোমাকে মুগ্ধ করে?’ আমি বলব, ‘প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো।’

বাংলাদেশে অনেক বড় মাপের মানুষ আছেন। তারা অনেক বড় বড় কাজও করেছেন। কিন্তু, খুব কম মানুষই আছেন যিনি ব্যক্তিপরিচয় ছাপিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দিয়েছেন! কিন্তু, শুরু থেকে ব্র্যাককে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন স্যার আবেদ। নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানেও অন্যদের মতো তিনিও বেতনভুক্তই ছিলেন। তিনি সব সময় বলতেন, ‘আমি ব্র্যাক থেকে বেতন নিই। কিন্তু, আমার নিজের কিছু নেই। নিজের বাড়ি নেই, ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকি। যখন ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করি, তখনই নিজের জন্য কিছু করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ নিজের সম্পদ গোছানোর ব্যবসা করতে গেলে গরিবদের সাহায্য করতে পারব না।’

ছোট্ট ওই ঘটনার সূত্র ধরে সেদিন নানা বিষয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলাপ হয়েছিল। প্রবাসী বাংলাদেশি, প্রবাসী-আয়, লোকজনের দক্ষতা বাড়ানো, ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাক্ষর হওয়া এসওপি, টিআইপি রিপোর্ট, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। মানবপাচারের শিকার মানুষগুলোর কষ্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই নিপীড়ন বন্ধ করতেই হবে।’

আগেও শুনেছি, স্যার আবেদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। যে কারো সঙ্গে কথা বললেই তিনি স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারেন। কথাটার মানে সেদিন পরিষ্কার হলো। বুঝতে পারলাম কেন এই মানুষটার সঙ্গে এতো মানুষ কাজ করেন। ব্র্যাকে এখনো অনেকে রয়েছেন যারা ২৫-৩০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে আছেন। তারা যখন স্যার আবেদের কথা বলেন তখন মনে হয়, একটা মানুষ কী করে সবার খোঁজ রাখতেন! কারো সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা বললেও মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। ভালোবাসা দেখাতেন। মনে হতো কতো আপন।

মৃত্যুর পর নানাজনের কাছে স্মৃতিচারণে শুনে বারবার মনে হয়েছে, যার সঙ্গেই কথা বলেছেন সেই মানুষটাই তাকে আপন মনে করতেন। মানুষের প্রতি প্রচণ্ড রকমের মমত্ববোধ ও ভালোবাসা ছিল স্যার আবেদের। আর এই ভালোবাসার টানেই তো বিদেশের উন্নত জীবন, ভালো চাকরি, ফ্ল্যাট সব ছেড়ে দেশে চলে আসেন। শুরু করলেন দেশ গড়ার কাজ। উদ্দেশ্য তো একটাই— ‘মানুষ’।

গত বছরের আগস্টে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন থেকে অবসরে যাওয়ার পর সবার অনুরোধে একদিন আবেদ ভাই এসেছিলেন ব্র্যাকের নানা গল্প বলার জন্য। সেদিন মিলনায়তনে উপস্থিত সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলেন আবেদ ভাইয়ের কথাগুলো। সংখ্যা, তারিখ সব কী দারুণভাবে মনে রেখেছেন। সেদিন তিনি বলেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যসীমা থেকে উত্তরণ ঘটানো, নারী-পুরুষের সমতা, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে কাজ করতে হবে।’ পাশাপাশি বললেন ব্র্যাক গড়ার কথা।

১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়, মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের জানুয়ারিতে জন্মভূমিতে ফিরে আসা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজ শুরু শাল্লা থেকে। এরপর ওরাল স্যালাইন, শিশুদের টিকা, যক্ষ্মা নিরাময়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম, সারাদেশে শিশুদের স্কুলে আনা, অতিদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ভাবনাসহ এক জীবনের অনেক ঘটনা সেদিন তিনি বললেন।

এক জীবনে কী অসাধারণ সব অর্জন। এক কোটিরও বেশি শিশু ব্র্যাক থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছে। আশির দশকে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে খাবার স্যালাইন বানানো শিখিয়েছে ব্র্যাক। শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। অথচ এতো কাজ করার পরেও তিনি বিনয়ে নত। শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, এক জীবনে কী না করেছেন। দারুণ দূরদর্শী, স্বচ্ছ চিন্তার মানুষ ছিলেন। যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই অর্জন। তবে সব কাজের সূচনায় ছিল মানুষ। হয় তাদের সমস্যার সমাধান, নয় তাদের সম্ভাবনা বিকশিত করার চিন্তায় মগ্ন ছিলেন।

স্যার আবেদকে নিয়ে বলা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কথাগুলো ভীষণ সত্য। মানুষের জীবন পরিবর্তনে যত কিছু লাগে, প্রত্যেক কাজে স্যার আবেদ শরিক হয়েছেন। শুধু কয়েকটা ছোটখাটো দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য নয়, সব মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে গেছেন এবং তিনি সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে স্যার আবেদের সঙ্গে জড়িত।

শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ব্র্যাক কাজ করেছে দেশের বাইরে। কতটা সাহস থাকলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান গড়ার কাজে যেতে পারেন একজন বাংলাদেশি!

২০০২ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থার তৎকালীন প্রধান আফগানিস্তানে ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে তাদের কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পৃথিবীর সব দেশের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ঘর-ভর্তি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কেউ সেদিন সাড়া দেননি। স্যার আবেদ সেদিন হাত তুলে বলেছিলেন, ‘ব্র্যাক কাজ করবে আফগানিস্তানে।’ অবশ্য শুধু আফগানিস্তান নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশে এখন কাজ করছে ব্র্যাক।

এক জীবনে দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন স্যার আবেদ। বেঁচে থাকতে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘ইদান’ পুরস্কার পাওয়ার কথা জেনে যান। শিক্ষায় যুগান্তকারী অবদান রাখায় তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ততদিনে তিনি জেনে গেছেন পৃথিবীতে তাঁর দিন হাতে গোনা। তবুও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য নিজেই লিখেন তিনি। কথা ছিল ডিসেম্বর মাসে হংকং-এ ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু, তার আগেই যেহেতু পৃথিবী ছেড়ে যান সেই পুরস্কার দিতে ইদানের প্রতিষ্ঠাতা ড. চার্লস চেন ইদান নিজেই ঢাকায় চলে আসেন। পরে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে স্যার আবেদের পরিবারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে আবেদ ভাইয়ের লেখা বক্তব্য তুলে ধরলেন ছেলে শামেরান আবেদ।

আবেদ ভাই লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্য মোচনের সর্বোত্তম হাতিয়ার। আমি এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখি যেখানে দরিদ্র মানুষটিও লক্ষ্যবহ ও মর্যাদার জীবন যাপন করার সুযোগ পাবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার অভিযাত্রায় সকলকে সামিল হওয়ার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাই।’

জীবনের শেষ পুরস্কারের চিঠিতেও মানুষের কথা! মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার, সহমমির্তার যে গল্পগুলো আপনি রেখে গেছেন সেগুলো নিশ্চয়ই সবাই অনুসরণ করবে, স্যার আবেদ। আপনার রেখে যাওয়া মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, কৌশল বজায় রেখে নিশ্চয়েই আরও এগিয়ে যাবে দেশ। এই পৃথিবী। নিশ্চয়ই একদিন প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পাবে। মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সুযোগ পাবে। আর এভাবেই আপনি বেঁচে থাকবেন কোটি বাংলাদেশির হৃদয়ে। বেঁচে থাকবেন বিশ্বের দুঃখী মানুষের মনে।

শরিফুল হাসান, কলামিস্ট, ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান

 

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Keep local realities in mind while making plans: PM to economists

Prime Minister Sheikh Hasina today asked the economists to design their policies, plans and programmes considering the local realities as advice from a foreigner will not be fruitful here.

1h ago