রোহিঙ্গাদের জন্য হচ্ছে ১৯০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মোট এক হাজার নয় শ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।

এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ছয়টি ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ছয়টি আলাদা আইসোলেশন সেন্টারের নির্মাণকাজ প্রায় ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সেগুলো চালু করা হবে। ওই ছয়টি আইসোলেশন সেন্টারে ৭৭০টি শয্যা রয়েছে।

আজ রোববার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার। তিনি জানান, সব মিলিয়ে আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে এক হাজার নয় শ শয্যা থাকবে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আইসোলেশন সেন্টারগুলোর অবকাঠামোর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ওই ছয়টি সেন্টারের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ মের মধ্যে নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে ক্যাম্পগুলোতে ১৬৮টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে মোট ১১৬টি চিকিৎসাকেন্দ্র সার্বক্ষণিক চালু আছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব আইসোলেশন সেন্টারে রোগীদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ভেন্টিলেটর সুবিধা না থাকলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেন সুবিধা থাকবে। ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকাতেই আইসোলেশন সেন্টার করার ইচ্ছে থাকলেও ক্যাম্পগুলো খুবই ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্প থেকে সামান্য বিচ্ছিন্ন ও নিরিবিলি এলাকায় করোনা আইসোলেশন সেন্টারগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব সেন্টারগুলো আরআরআরসি’র তত্ত্বাবধানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের কাছের এলাকায় আরও একটি ৩০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের নিমার্ণকাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মে মাসের শুরুতেই এই আইসোলেশান সেন্টার চালু করা হবে। এটি এবং ইউএনএইচসিআর ও ডব্লিউএইচও’র উদ্যোগে নিমার্ণ করা হয়েছে। এ সেন্টারে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা নাগরিকেরা চিকিৎসাসেবা পাবে।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

6h ago