কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা প্যাকেজের অর্ধেক জোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন দেওয়ার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, এর অর্ধেক অর্থের জোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল তিন বছরের জন্য গঠন করেছে।
এর আগে গত সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প ও পরিষেবা খাতে চলতি মূলধন প্রদানে গঠিত ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চলতি মূলধনের যোগান দিতে গত ১২ এপ্রিল এসব তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে। এতে বলা হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের ঋণযোগ্য তহবিল থেকে এই ঋণ দেবে এবং প্রযোজ্য ৯ শতাংশ সুদের অর্ধেক পরিশোধ করবে সরকার। তখনই অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকাররা প্রশ্ন তুলেছিলেন--ব্যাংক তো এমনিতে তারল্য সংকটে ভুগছে, ফলে তারা টাকার যোগান দিতে পারবে কিনা?
এসব আলোচনা-সমালোচনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত এল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিলে তার বিনিময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৪ শতাংশ সুদ গুনতে হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
৪ শতাংশে শস্য ঋণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষকদেরকে ৪ শতাংশ সুদে শস্য ঋণ দেওয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে আজ।
এ বিষয়ে এক সার্কুলারে বলা হয়, এই ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ ক্ষতিজনিত সুদ সরকার থেকে তাদেরকে প্রদান করা হবে। এই সুবিধা বহাল থাকবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত।
শস্যগুলো হলো: ধান, গমসহ সকল দানা শস্য, সকল অর্থকরী ফসল ও শাকসবজি। করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
Comments