৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ উমর আকমল

আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমলকে তিন বছরের নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিসিবি।
ছবি: এএফপি

আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমলকে তিন বছরের নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিসিবি।

মূলত, দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করার দায়ে উমরকে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পিসিবি। শেষ পিএসএল শুরুর আগে এ প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। টুইটারে এক বার্তায় পিসিবি জানিয়েছে, 'উমর আকমলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব.) ফজল-ই-মিরান চৌহান।'

নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নতুন কিছু নয় উমরের জন্য। এর আগে সাবেক কোচ মিকি আর্থারের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ফিটনেস টেস্ট পাশ করতে না পেরে ট্রেইনারের সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন। তবে এবারের ধাক্কাটা বেশ বড়সড়। কারণ তিন বছরই থাকতে হবে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে ১৬টি টেস্ট, ১২১টি ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটসম্যানকে।

গত ২০ মার্চ উমরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনে পিসিবি। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়। তবে পিসিবির আনা অভিযোগের বিপক্ষে লড়াই করেননি তিনি। ফলে আনুষ্ঠানিক কোন শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। শৃঙ্খলা কমিটি সরাসরি শাস্তি দিয়েছে তাকে।

বরাবরই বিতর্কের তুঙ্গে থাকা উমর এর আগেএক সাক্ষাৎকারে উমর জানিয়েছিলেন, একটি ম্যাচে দুটি বল ছেড়ে দেয়ার জন্য বাজিকরদের কাছ থেকে ২ লাখ ডলারের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষেও একটি ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব আসে তার কাছে। এমনকি বিশ্বকাপেও ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে তখন এ ব্যপারে অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের (আকু) কাছে কিছু জানিয়েছেন কি-না সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।

উল্লেখ্য, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোডের ২.৪.৪ ও ২.৪.৫ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ক্রিকেটার বাজিকরদের বাজে প্রস্তাব জানাতে ব্যর্থ হলে কমপক্ষে পাঁচ বছরের সাজা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago