মে থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা

মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দৈনিক করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করার লক্ষ্যে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ গতকাল রবিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের পরিকল্পনা ছিল দৈনিক ১০ হাজার পরীক্ষা করার। তবে প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার পরীক্ষার সক্ষমতা নিশ্চিত করার দিকে জোর দিচ্ছেন।

বর্তমানে দেশের ২০টি ল্যাবরেটরিতে ৩০টি পিসিআর মেশিনের সাহায্যে দৈনিক প্রায় সাড়ে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আরও আটটি ল্যাব প্রস্তুত করছি এবং এটা হয়ে গেলে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা এখন উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর চিন্তা করছি।’

তিনি আরও জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ল্যাব তালিকাভুক্ত করছে।

অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, যদি বিদ্যমান পিসিআর মেশিনগুলো দুটি শিফটে ব্যবহার করা যায় তাহলে দিনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টেস্ট করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরীক্ষার ল্যাব বাড়লেও পরিকল্পনা ও জনবলের অভাব থেকেই যাচ্ছে। তাদের মতে, মাঠ পর্যায়ে যারা নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা ঠিকভাবে প্রশিক্ষিত নন। তাই, অনেক নমুনা যথাযথভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বীকার করেন যে মাঠে যারা নমুনা সংগ্রহ করেন তাদের মধ্যে দক্ষতার ঘাটতি আছে।

পরীক্ষার কিট সম্পর্কে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক কিট রয়েছে এবং আরও কিট আসছে। কিট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’

তিনি জানান, জনবল সঙ্কট নিরসনে শিগগির আরও চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বে-নজির আহমেদ জানান, আমরা যত বেশি পরীক্ষা করতে পারব করোনা পরিস্থিতির তত নিখুঁত চিত্র আমরা দেখতে পাব। এটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আরও ভালো কর্মসূচি হাতে নিতে সহায়ক হবে।

কোনো কর্মকর্তা আইইডিসিআরের মজুতে থাকা কিটের সংখ্যা প্রকাশ না করলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার কিট রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

2h ago