কুষ্টিয়ায় এসি ল্যান্ড ও একই পরিবারের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত
কুষ্টিয়ায় একজন এসি ল্যান্ডের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি কুমারখালী উপজেলায় কর্মরত আছেন। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার ডা. আকুল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি করোনার একটি মাত্র উপসর্গ সর্দি বহন করছিলেন। তার নমুনা নিয়ে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে টেস্ট করা হয়। পরে পাঠানো হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই পজিটিভ রির্পোট আসে।’
‘আক্রান্ত কর্মকর্তা বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন,’ উল্লেখ করে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ‘অধিকতর পরীক্ষার জন্য তার নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে।’
এছাড়াও, গত রাতে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার করোনা আক্রান্ত এক পুলিশ এএসআই’র সংস্পর্শে আসা তার এক বোনের পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঐ পরিবারের বাড়ি একই উপজেলা শিমুলিয়া গ্রামে। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের বোন।
এ দিয়ে গত রাত ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান সোহেল জানান, ডিএমপিতে কর্মরত ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা থেকে গত ২১ এপ্রিল ফেরার পথে তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে তারা সংক্রমিত হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুই নারী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাজী আতাউল (৩৫) নামে ঐ পুলিশ সদস্য উপজেলার ওসমানপুর ইঊনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের রতন কাজীর ছেলে। ঢাকাতে ২১ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি আক্রান্ত অবস্থায় নিজের মোটরসাইকেলে চড়ে আসেন কুষ্টিয়ায় তার পরিবারের কাছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ২২ এপ্রিল তার বাড়িতে পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসেন। তাকে ও তার পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সেই পুলিশ সদস্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খোকসা থেকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
Comments