পঞ্চগড়ে আরও ৩ করোনা রোগী শনাক্ত

পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসে আাক্রান্ত আরও তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন ভারত থেকে ফিরেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত সাত জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসে আাক্রান্ত আরও তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন ভারত থেকে ফিরেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত সাত জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন মো. ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনাক্ত হওয়া নতুন তিন জনসহ মোট সাত জনের মধ্যে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। তারা সুস্থ রয়েছেন।

তিন জনের মধ্যে একজন নারী। তিনি গাজীপুর থেকে নিজ এলাকা দেবীগঞ্জে ফিরিছেন। গত ২০ এপ্রিল থেকে তিনি সেখানে প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। আরেকজন ২৮ বছর বয়সী যুবক গত ১৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে একই উপজেলার চেংঠীহাজরা ডাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। এরপর থেকেই তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ওই যুবকের বাড়িসহ আশপাশের ২৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে, ভারত থেকে ফেরা ওই তরুণ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি গত ১৫ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকেই তিনি স্থলবন্দর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে, তিনি সুস্থ থাকলেও তাকে আইসোলেশনের নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত জেলা থেকে মোট ৩২২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২৪৪ টি নমুনার ফল পাওয়া গেছে। যরি মধ্যে সাত টির ফল পজিটিভ। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল পাঠানো আটটি নমুনার মধ্যে তিন টির ফল পজিটিভ এসেছে।

পঞ্চগড় জেলায় শনাক্ত হওয়া সাত জনের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় দুই জন পুরুষ ও দুই জন নারী, বোদা উপজেলায় একজন পুরুষ এবং দেবীগঞ্জে একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ১৮ এপ্রিল থেকে পঞ্চগড় জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago