স্বাস্থ্যকর্মীকে ঝুপড়িতে থাকতে বাধ্য করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক স্বাস্থ্যকর্মীকে পুকুর পাড়ে ঝুপড়ি ঘরে কোয়ারেন্টিনে রাখার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোহসিন উদ্দিনকে প্রধান করে গঠন করা কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক মো. জাকারিয়া ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাকচী।
কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফজুর রহমান।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈর নির্দেশে এলাকার কয়েকজন ওই নারীকে তালপাতার ঘরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। ঘটনাটি গণমাধ্যমে না আসা পর্যন্ত প্রায় এক সপ্তাহ তাকে সেখানে থাকতে হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর সেখানে ছুটে যান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুশান্ত বৈদ্য। ২৭ এপ্রিল তারা ওই নারীকে তার বাড়িতে কোয়ারেন্টিনের থাকার ব্যবস্থা করেন।
ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন ওই নারী স্বাস্থ্যকর্মী। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়। ২১ এপ্রিল বাড়িতে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈর কথামত বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে একটি নির্জন জায়গায় পুকুরের কাছে তালপাতা দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে কোয়ারেন্টিনে রাখে।
Comments