বকেয়া মজুরি পরিশোধে চা শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

১৩ সপ্তাহের বকেয়া মজুরিসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের জন্য মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানের শ্রমিকরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। শ্রমিকরা ভুখা মিছিল করে বকেয়া পরিশোধের জন্য মালিকপক্ষকে এই সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
ককেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে চা বাগানে শ্রমিক বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

১৩ সপ্তাহের বকেয়া মজুরিসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের জন্য মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানের শ্রমিকরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। শ্রমিকরা ভুখা মিছিল করে বকেয়া পরিশোধের জন্য মালিকপক্ষকে এই সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, কালিটি চা বাগানের চলমান সংকট নিরসনে গত ২২ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সোমবারের (২৭ এপ্রিল) মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আজও দাবি পূরণ না হওয়ায় চা শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেছেন।

শ্রমিকরা জানান, কালিটি বাগানটি ‘জোবেদা টি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। বাগানে মোট ৫৩৭ জন শ্রমিক আছেন। প্রত্যেক শ্রমিকের ১০২ টাকা করে দৈনিক মজুরি প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পরিশোধের কথা। কিন্তু ১৩ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকেরা মজুরি পাচ্ছেন না। বাগানের শ্রমিক সরদার ও স্টাফদেরও ১১ মাসের বেতন আটকা পড়ে আছে।

বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক উত্তম কালোয়ার বলেন, ‘শ্রমিকেরা এমনিতেই সামান্য মজুরি পান। এরপর ১৩ সপ্তাহ থেকে কেউ মজুরি পাচ্ছেন না। কাজ করেও মজুরি মিলছে না। ঘরে চাল-ডাল নেই। উপোষ করে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাগান কর্তৃপক্ষ আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করছে।’

জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, গত বুধবার সবার সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল।

বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কয়ছর আহমেদ বলেন, আমরা আর্থিক সংকটে আছি। লকডাউন শেষ হলে সব শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করে দেওয়া হবে। তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

8h ago