বরিশালে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আল. আজাদ সজলের মরদেহ নগরীর মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নীচ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Dr. Md. Al Azad (2).jpg
ডা. মো. আল. আজাদ সজল। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আল. আজাদ সজলের মরদেহ নগরীর মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নীচ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৃত চিকিৎসকের ভাই ডা. শাহরিয়ার উচ্ছ্বাস বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল।

তিনি জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

ডা. আজাদের মরদেহ পিরোজপুরের সোহাগদল গ্রামে তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। একজন চিকিৎসকের এই রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় নগরীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই একে হত্যাকাণ্ড বললেও, তদন্ত শেষ না করে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি পুলিশ।

পুলিশের পক্ষে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে বলে জানান কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ডা. মো. আল আজাদ নগরীর মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা দিতেন। এই হাসপাতালের সাত তলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডা. মো. আল আজাদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে যেতেন এবং শনিবার চলে আসতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে আটকে পড়ায় যেতে পারছিলেন না। গত সোমবার ইফতারি আনার জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের বললেও তার রুম বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তায় রুমে তার মোবাইল খুঁজে পায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে লিফটের নীচে বেজমেন্ট সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তার একটি পা ভাঙার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে লিফটটি অক্ষত থাকার কথা জানানো হয়েছে। কীভাবে এই রহস্যজনক মৃত্যু হলো, তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago