লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগই কর্মস্থলফেরত
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে লালমনিরহাটে তিন জন এবং বাকি ১০ জন কুড়িগ্রামের। এদের মধ্যে ১১ জনই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাফেরত গার্মেন্টসকর্মী ও দিনমজুর।
আজ বুধবার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান।
তারা জানান, দুই জেলায় শনাক্ত হওয়া ১৩ জনের মধ্যে সাত জন নারায়ণগঞ্জ, তিন জন গাজীপুর ও একজন ঢাকা থেকে এসেছেন। এ ছাড়া, বাকি দুই জন আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই জনের মধ্যে একজন নারী ও অপরজন শিশু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষার ল্যাব থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পূর্ব দৈলজোড় গ্রামের গাজীপুরফেরত এক গার্মেন্টসকর্মী করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় আক্রান্ত পিতা-পুত্র সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউনে থাকা বাড়িগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এসব পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।’
অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধনঞ্জয় গ্রামে ঢাকাফেরত ভাইয়ের সংস্পর্শে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়া গৃহবধূকে গতকাল রাতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়িও লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পাঁচ জন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন। এ ছাড়া, রৌমারী উপজেলায় তিন জন, ফুলবাড়ী উপজেলায় একজন ও চিলমারী উপজেলায় একজন রয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
সিভিল সার্জনের হেল্প ডেস্ক থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় এখন পযর্ন্ত ১৫৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১১৮ জনের। এর মধ্যে নেগেটিভ ১১৫ জনের ও পজিটিভি তিন জনের। কুড়িগ্রাম জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮৭ জনের। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২৩৮ জনের। এর মধ্যে নেগেটিভ এসেছে ২২৮ জনের ও পজিটিভ ১০ জনের।
Comments