নোয়াখালীতে আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত
নোয়াখালীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাত জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান।
তিনি জানান, গতকাল রাতে চট্টগ্রামে ফৌজদার হাটে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে আরও একজন আক্রান্তের বিষয়টি জানা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি বেগমগঞ্জের বাসিন্দা। তার বয়স ৬০। গত ২১ তারিখ থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, ‘৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি লক্ষ্মীপুরের একটি মাদ্রাসায় চাকরি করেন। গত ২০ দিন আগে তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জে নিজ বাড়িতে আসেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে ওই ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার সর্দি, জ্বর ও হালকা কাশি ছিল। তার নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ওই দিনই তার বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।’
‘গতকাল রাতে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসায় আজ দুপুরে তার পরিবারের আরও আট সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িটি অনেক বড়। এখানে প্রায় ৩০০ জনের মতো মানুষ বসবাস করেন। ওই বাড়ির লোকজনদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ জটিল না ওয়ায় আপাতত তাকে বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে’, বলেন তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়ে নোয়াখালী জেলায় সাত জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে সোনাইমুড়ীতে দুই জন, সেনবাগে একজন, সদর উপজেলায় একজন, কবিরহাট উপজেলায় একজন ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুই জন। এদের মধ্যে সোনাইমুড়ীর একজন ও সেনবাগের একজন মারা যাওয়ার পর তাদের করোনা শনাক্ত হয়।’
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িতে প্রায় ৩০০ লোকের বসবাস। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ওই বাড়িতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
Comments