করোনা রোগীর বাড়ি লকডাউনের সময় ইউএনও জানলেন নিজেই আক্রান্ত

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তখনও জানেন না যে তার শরীরে আক্রমণ করেছে করোনাভাইরাস। তখনও তিনি হাজীগঞ্জ বাজারে আরেক করোনা রোগীর বাড়ি লকডাউন করতে ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে। দুপুর সোয়া ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
Chandpur.jpg
করোনা আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন করছেন ইউএনও। ছবি: স্টার

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তখনও জানেন না যে তার শরীরে আক্রমণ করেছে করোনাভাইরাস। তখনও তিনি হাজীগঞ্জ বাজারে আরেক করোনা রোগীর বাড়ি লকডাউন করতে ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে। দুপুর সোয়া ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।

এ খবর জেনে দুপুরের পর থেকে ইউএনও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নিজ বাসভবনে কোয়ারেন্টিনে চলে যান। পরবর্তীতে বিষয়টি আরও নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দু্ল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জের ইউএনও বলেন, ‘আমার করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। এরপরও সার্বক্ষণিক করোনার বিষয়ে মাঠে কাজ করার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৭ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য আমার নমুনা নেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুরে সে রিপোর্টে আমার করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে এতে করে আমি একটুও ভীত নই।’

ইউএনও জানান, দুপুরে আমরা খবর পাই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের একটি ভবনে হাবিবুর রহমান (৩৮) নামে একজনের প্রথম করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ঢাকায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। গত ১৮ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে নিজ পরিবারের কাছে আসেন।

ইউএনও আরও জানান, এর মধ্যে ওই ব্যক্তির শ্বশুর মারা যাওয়ায় তিনি চট্টগ্রামে যান। সেখান থেকে আসার পর তার করোনা উপসর্গ না থাকলেও, তিনি করোনা পরীক্ষা করান। এতে তার ফল পজিটিভি আসে। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে ভবনের ভেতর থাকা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের হাজীগঞ্জ শাখাটিও লকডাউন করছে উপজেলা প্রশাসন।

Comments