পিরোজপুরে করোনা আক্রান্ত যুবক ঢাকায়: স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
পিরোজপুর স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণে এক যুবকের করোনা শনাক্তে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ওই যুবক গত ২৫ এপ্রিল পিরোজপুর থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকার আশুলিয়ায় আসেন।
করোনা আক্রান্ত ওই যুবক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ৯ এপ্রিল আশুলিয়া থেকে পিরোজপুরে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তিনি। এর দুই সপ্তাহ পর ২৩ এপ্রিল পিরোজপুর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তার নমুনা সংগ্রহ করেন। ২৬ এপ্রিল গার্মেন্ট খোলা হবে খবর পেয়ে তিনি ২৫ এপ্রিল ঢাকায় চলে আসেন। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহনে করে ঢাকায় পৌঁছান বলে জানান তিনি। গত ২৭ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে।
ঢাকা থেকে ফিরে দুই সপ্তাহ বাড়িতে অবস্থান করলেও তার নমুনা সংগ্রহ না করায় ক্ষোভ জানান ওই যুবক।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রুহুল আমীন শেখ জানান, ওই যুবক বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।
সিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার কামরুজ্জামান চাঁনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণেই সময়মত ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
গাফিলতির অভিযোগ নাকচ করে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, ওই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণ ছিল না। এমনকি বর্তমানেও তার শরীরে কোনও লক্ষণ নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে ওই যুবকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে তা নেগেটিভ হতে পারত। এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই তা পরীক্ষায় ধরা পরে না। এজন্য সর্বোচ্চ ২৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘নমুনা সংগ্রহের পর ওই যুবককে আরও দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে তা অমান্য করে ঢাকায় চলে গেছে।’
পিরোজপুরের ৭টি উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত ২১১ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও অর্ধশতাধিক রিপোর্ট এখনও আসেনি।
প্রাপ্ত প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত পিরোজপুর সদর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া ও কাউখালী উপজেলায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়েছেন।
Comments